মেসিডোনিয়ায় ১৪৪ জন বাংলাদেশী উদ্ধার এবং ইতালি থেকে ১৪৭ জন বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১০ জুলাই এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ইউরোপের দেশ মেসিডোনিয়ার গাভগালিজা শহরে ৭ জুলাই ১৪৪ জন বাংলাদেশী অভিবাসীকে মানব পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়। ১০ জুলাই ইতালির রোম থেকে ১৪৭ জন বাংলাদেশী নাগরিককে বিমান বন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়।
সরকারের উদাসিনতা ও দুর্বলতার কারণে একের পর এক মানব পাচারের ঘটনা ঘটছে। অনেক সময় মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাও সংঘটিত হচ্ছে। বরাবরই মানবপাচারকারীরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। মেসিডোনিয়ায় মানব পাচারকারীদের কবল থেকে উদ্ধারকৃত ১৪৪ জন বাংলাদেশীর পরিবার-পরিজন গভীর উদ্বেগের মধ্যে আছেন। তারা তাদের সন্তানদের নিরাপদে ফিরে আসার প্রতিক্ষায় প্রহর গুণছেন।
অপরদিকে করোনার কারণে এমনিতেই মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক। এর মধ্যে ইতালি থেকে ১৪৭ জন প্রবাসী ফেরত আসার ঘটনায় ভুক্তভোগীগণ পথে বসার উপক্রম। ইতালীর রোমের ফিউমিসিনোল বিমানবন্দরে বাংলাদেশী নাগরিকদের অবতরণ করতে না দিয়ে ফেরত পাঠানোর ঘটনা দেশের জন্য অত্যন্ত অপমান ও অসম্মানজনক। গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে যে, করোনা ভাইরাস নেগেটিভের ভুয়া রিপোর্ট নিয়ে প্রবাসীদের প্রবেসের জেরে ইতালি তিন মাসের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারের অবহেলা, দায়িত্বহীনতা ও চরম অব্যবস্থাপনার কারণেই তাদের ফেরত আসতে হয়েছে।
মানবপাচারের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ ও পাচারের শিকার লোকদের তাদের পরিবারের নিকট নিরাপদে ফিরিয়ে দেয়া এবং ইতালি থেকে অপমানজনকভাবে ফিরে আসার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ইতালি ফেরত অভিবাসীদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”