মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান মুহাম্মাদ বদিইসহ ১২ জন নেতাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান ১৪ সেপ্টেম্বর নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-
“মুসলিম ব্রাদারহুড মিশরের জনগণের নিকট জনপ্রিয় একটি ইসলামী সংগঠন। ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনটি দীর্ঘদিন যাবত মিশরে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সংগ্রাম করে আসছে। মিশরের জনগণ ব্রাদারহুডের ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে সাড়া দিয়ে ২০১২ সালের সংসদ নির্বাচনে তাদের বিপুল সমর্থন দেয়। মিশরের ইতিহাসে প্রথম জনগণের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ড. মুহম্মাদ মুরসি। কিন্তু মিসরের সেনা বাহিনী ২০১৩ সালের ৩ জুলাই মুহম্মাদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যূত করে মিশরে সামরিক শাসন জারী করে। সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করার পরই মিথ্যা অজুহাতে মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং একের পর এক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় দণ্ড প্রদান করে আসছে। মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে জুলুম-নির্যাতন এখনো অব্যাহত রয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় মুসলিম ব্রাদারহুডকে ধ্বংস করার জন্যই গত ১২ সেপ্টেম্বর মিশরের একটি আদালতে মুহাম্মাদ বদিইসহ ১২ জন নেতাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। ইতিপূর্বেও মুহাম্মাদ বদিইর বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষ অনেক নেতাকে বিচারের নামে প্রহসন করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু মিশর থেকে ইসলামের আদর্শ উৎখাত করা যায়নি। মিশরের জনগণ ইসলামের প্রতি আরো বেশি সহানুভূতিশীল হয়েছে।
মিশরের সামরিক জান্তার জুলুম-নির্যাতন, বিচারের নামে প্রহসন ও মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা মুহাম্মাদ বদিইসহ নেতাদের হত্যার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও মুসলিম বিশ্বসহ শান্তিকামী জনতার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান মুহাম্মাদ বদিইসহ নেতাদের হত্যা করার ষড়যন্ত্র বন্ধ করে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি মিশর সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”