মসজিদ, মাদরাসা, খানকা যে দেশের শহরে ও গ্রামে সর্বত্র। যে দেশের ৯০ ভাগ মানুষ আল্লাহতে বিশ্বাসী এবং নিজেদেরকে মুসলমান বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে। আজকে আমরা বেদনা এবং বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি, উলামায়ে কেরাম, মাশায়েখে এজাম এবং কোরআনের দা’য়ী ও মোফাসসীরদের কণ্ঠ রুদ্ধ করার জন্য কতিপয় জনবিচ্ছিন্ন চিহ্নিত ইসলাম বিরোধী ব্যক্তির অন্যায় আবদারকে সম্বল করে বিভিন্ন স্থানে ইসলামী ও কোরআনের মাহফিলের উপর ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে।
মুসলমানদের দেশে এ অপসংস্কৃতির সূচনা হয়েছিল ৯০’এর দশকে। আর তা হয়েছিল বিশ্ববিখ্যাত মোফাসসীরে কোরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী’র কোরআনের মাহফিলকে কেন্দ্র করে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সমস্ত ইসলামী মহল ঐক্যবদ্ধভাবে সেদিন এ অন্যায় ও অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সমস্ত সামর্থ দিয়ে একসাথে প্রতিবাদ করিনি। আসলে ইসলামের চিহ্নিত প্রতিপক্ষের কাছে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ কিংবা কোন দল টার্গেট নয়। এদের টার্গেট মানবতার মুক্তির সনদ আল-ইসলাম।
আমরা সুস্পষ্টভাবেই এ অন্যায় ও বাড়াবাড়ির নিন্দা জানাই। ধর্মীয় অধিকারের উপর এ অন্যায় ও অন্যায্য হস্তক্ষেপ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
সমাজ যখন খুন, ধর্ষণ, লুণ্ঠন ও অপরাধের ভারে বিধ্বস্ত এবং নানা ভঙ্গিতে শিরক ও বিদআতকে জাতির ঘাড়ে জোর করে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে, তখন কোরআনের মাহফিল বন্ধ নয় বরং মসজিদের মিম্বার থেকে শুরু করে সমাজের সর্বত্র ইসলামের সুমহান বাণী পৌঁছে দেয়াই সময়ের দাবি। মুষ্টিমেয় কুচক্রীদের সাথে উলামায়ে কেরাম আর দেশের আপামর তৌহিদী জনতা আপোষ করবেনা, মাথানত করবেনা।
জেগে উঠুন, সোচ্চার হোন। ইসলামের বিজয় অবশ্যম্ভাবী।