গত ১৯ ডিসেম্বর জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপুল এলাকার রেলক্রসিংয়ে এক মারাত্নক দুর্ঘটনায় চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় যাত্রীবাহী বাস চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে যায়। এতে বাসের চালক ও চালকের সহকারীসহ ১২ জন লোক নিহত হন। আরেকজন মারাত্নক আহত হয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের সহমর্মিতা জানানোর জন্য আমি এবং অন্যতম এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা আমীর শাহীনুর ইসলাম ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আজ ২২ ডিসেম্বর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কাছে ছুটে যাই। নিহতদের পরিবারবর্গকে সহমর্মিতা জানাই এবং সান্ত্বনা প্রদান করি। তাদের মাগফিরাতের জন্য মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে দোয়া করা হয় এবং পরিবারবর্গকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়।
একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আমাদের নৈতিক দায়বোধের জায়গা থেকে মনের টানে আপনাদের কাছে ছুটে এসেছি। আমরা আপনাদের কল্যাণের জন্য আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে দোয়া করি। আপনারাও আমাদের জন্য দোয়া করবেন। বিশেষ করে জাতির প্রয়োজনে আমরা যেন সব সময় বিপন্ন মানবতার পাশে থাকতে পারি।
উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ এবং জয়পুরহাট ও নওগাঁ জামায়াতের নেতৃবৃন্দ সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত বাসটি পরিদর্শন করি এবং যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাই।