মায়ামাখা মুখ, বুদ্ধিদ্বীপ্ত চেহারা, অতিউঁচু ব্যক্তিত্বশীল আচরণ কারাগারের সেই দিনগুলোতে চমৎকারভাবে আমাদেরকে বিমোহিত করতো। ছিলেন জ্ঞানের মহাসাগর। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমীর হযরাতুল আল্লাম শায়খ আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফ রাহিমাহুল্লাহ।
তিনি দুই দুইবার ওপেন হার্ট সার্জারীর ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছিলেন। নিয়মিতই তাঁর পুরনো ক্ষত থেকে Fluid নিঃস্বরণ হতো। আর জেলে থাকার সুবাধে আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে এই দায়িত্বশীলের সামান্য চিকিৎসা সেবা দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এজন্য মহান রবের দরবারে অফুরন্ত শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
কলিজার টুকরা দায়িত্বশীলদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী শহীদ আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও বহুবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুস সোবহান সাহেবসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলবৃন্দ আমরা একসাথেই কারাগারে ছিলাম। পাশের অন্য একটি ভবনে রাখা হয়েছিলো দ্বীনে হকের আপোষহীন কণ্ঠ, বিশ্ববিখ্যাত মুফাসসিরে কুরআন, সাবেক সংসদ সদস্য হযরাতুল আল্লাম দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে।
আমি জামিনে মুক্তি পেয়ে কাশিমপুর কেন্দ্রিয় কারাগার থেকে যখন বের হবো তখন সম্মানিত মজলুম নেতৃবৃন্দ এবং কারাগারে থাকা মজলুম সাথীদের কথা স্মরণ করে দুই চোখের কোণা বেয়ে টপ-টপ করে পানি ঝরছিল। সেই স্মৃতি নিয়মিতই আমাকে তাড়া করে।
অন্তরে গভীর বিশ্বাস রাখি, আমাদেরকে ছেড়ে যাওয়া কলিজার টুকরা নেতৃবৃন্দ, আমাদের সত্যিকারের প্রেমিক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালার ভালোবাসার উপহার পেয়ে মহান প্রভুর জান্নাতে পাখি হয়ে উড়ছেন।