বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও গণমানুষের প্রিয় নেতা মাওলানা আব্দুস সোবহান বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। এদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তাদের মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আব্দুস সোবহান অন্যতম। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, পেশাগত ও জাতীয় এবং রাজনৈতিক জীবনে তিনি সততা, যোগ্যতা ও মেধার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। পাশাপাশি ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক একটি সমাজ প্রতিষ্ঠায় আজীবন নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছেন।
১৯৫৯ সালে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও পরে ৫ বছর ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৬২ সনে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য, ১৯৬৫ সনে কপ-এর পক্ষ থেকে ২য় বার প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ও সংসদে ডেপুটি অপজিশন লিডার, ১৯৭১ সনে জাতীয় সংসদ সদস্য, ১৯৯১ ও ২০০১ সনে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন। দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গেছেন।
একজন দা’য়ী ইলাল্লাহ হিসেবে তিনি আজীবন ইসলামের খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন। নৈতিক শিক্ষার উন্নয়ন ও মানব কল্যাণে তাঁর ছিল ঈর্ষণীয় অবদান। তিনি যেন আবরার বান্দাদের এক অগ্রপথিক ছিলেন। উন্নত নৈতিক চরিত্রের বলে বলিয়ান এমন একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকেই মিথ্যা ও বানোয়াট নোংরা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। বিচারের নামে যে জুলুম তাঁর উপর করা হয়েছে, এ প্রক্রিয়া অসমাপ্ত রেখেই তিনি তাঁর মাওলার মুলাকাতে এ পৃথিবী ছেড়ে পরবর্তী সফর শুরু করেছেন। তাঁর উপর আরোপিত জুলুমের প্রকৃত রায় মহান আল্লাহর আদালত থেকে পাব ইনশাআল্লাহ এবং সেই বিচারে তিনি ইনশাআল্লাহ বিজয়ী হবেন।
লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ইতিহাসের স্মরণীয় হয়ে তাঁর নামাজে জানাযা পাবনার মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্তরে গভীর বিশ্বাস রাখি, আমাদেরকে ছেড়ে যাওয়া কলিজার টুকরা প্রিয় নেতা হযরত মাওলানা আব্দুস সোবহানকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালার নিজ তত্ত্বাবধানে শহীদি মর্যাদা ও জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করেছেন।