বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, লেখক, গবেষক ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল জনাব মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানের অবদান এবং ত্যাগের কথা স্মরণ করে মহান আল্লাহর দরবারে তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করার আকুতি জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১০ এপ্রিল এক বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সরকারের দায়ের করা ষড়যন্ত্রমূলক রাজনৈতিক মামলায় জনাব মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। তাঁর এই দণ্ডের বিরুদ্ধে দেশ এবং বিদেশ থেকে ব্যাপক প্রতিবাদ জানানো হয়। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংস্থা তাঁর মৃত্যুদণ্ড স্থগিতের আহ্বান জানায়। তা অগ্রাহ্য করে ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল রাত ১০টা ৩০ মিনিটে তাঁর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
তিনি আরো বলেন, জনাব মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান ছাত্রজীবন থেকেই ইসলামী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পাশাপাশি লেখক, সাংবাদিক ও গবেষক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গিয়েছেন। তিনি অনেকগুলো মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ ও প্রবন্ধসমূহ যুগ যুগ ধরে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী ও দেশের জনগণকে অনুপ্রাণিত করবে।
আমীরে জামায়াত বলেন, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর অবদানকে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে দোয়া করি তিনি যেন তাঁর শাহাদাতকে কবুল করেন। আমি দেশবাসীকে তাঁর রেখে যাওয়া ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরীক হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।”