বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর উত্তর সাংগঠনিক জেলা শাখার কর্মপরিষদ সদস্য, মসজিদ মিশনের জেলা সভাপতি, কাহারোল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব আবদুল গণি করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৬ জুলাই সকাল ৮টায় ৬৮ বছর বয়সে দিনাজপুর এম আবদুর রহীম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি ১ পুত্র ও ৪ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। ১৬ জুলাই বাদ আসর কাহারোল উপজেলার ২নং রসূলপুর ইউনিয়নের তরঞ্জা কাঠালী নামক গ্রামের নিজ বাড়িতে জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শোকবাণী
জনাব আবদুল গণির ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১৬ জুলাই ২০২১ এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, জনাব আবদুল গণি ছিলেন দাঈ ইলাল্লাহর একজন একনিষ্ঠ সেবক ও গণ-মানুষের প্রিয় নেতা। তিনি কাহারোল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি তার নিজ এলাকায় বহু উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন এবং অসহায় দরিদ্র মানুষের সেবা করে গিয়েছেন। তিনি ১৬ জুলাই সকাল ৮টায় করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে মর্মান্তিকভাবে ইন্তিকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
শোকবাণীতে তিনি আরো বলেন, জনাব আবদুল গণির ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ দাঈকে হারালাম। দ্বীন কায়েমের একনিষ্ঠ সেবক জনাব আবদুল গণি ইসলামী আন্দোলনের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ তায়ালা তাঁর জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
অপর এক যুক্ত শোকবাণীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর উত্তর সাংগঠনিক জেলা শাখার আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মাওঃ রবিউল ইসলাম, কাহারোল থানা আমীর জনাব তরিকুল ইসলাম ও দিনাজপুর শহর শাখার আমীর জনাব মোঃ সিরাজুস সালেহীন গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, জনাব আবদুল গণি আজীবন ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক জীবন-যাপনের চেষ্টা করেছেন এবং দ্বীন প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গিয়েছেন। ব্যক্তি জীবনে তার আমল এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল অনুসরণীয়। আমরা একজন নিবেদিত প্রাণ দ্বীনের দায়ী এবং অভিবাভককে হারালাম। আল্লাহ তায়ালা তাঁর জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা দান করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।