বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ ও ভাষা আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক গোলাম আযমের সহধর্মিনী বেগম আফিফা আযম আজ ২৮ জুন সন্ধ্যা ৬ টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না-ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি ফুসফুসের সংক্রামণসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি ৬ পুত্র ও বহু নাতী-নাতনী এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গিয়েছেন। তার প্রথম পুত্র আব্দুল্লাহিল মামুন আল আযমী, দ্বিতীয় পুত্র আব্দুল্লাহিল আমিন আল আযমী, তৃতীয় পুত্র আব্দুল্লাহিল মোমেন আল আযমী, চতুর্থ পুত্র সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আল আযমী, পঞ্চম পুত্র আব্দুল্লাহিল নোমান আল আযমী, ষষ্ঠ পুত্র আব্দুল্লাহিল সালমান আল আযমী। তার ৪র্থ পুত্র সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আল আযমীকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে তার বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত তার কোন খবর পাওয়া যায়নি। বেগম আফিফা আযমের নামাজে জানাযা কখন হবে সে ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত এখনো জানা যায়নি।
শোকবাণী
বেগম আফিফা আযমের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদ ও সেক্রেটারী জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান আজ ২৮ জুন ২০১৯ এক যুক্ত শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তারা বলেন, বেগম আফিফা আযমের ইন্তেকালে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা আমাদের একজন অতি আপনজনকে হারানোর গভীর বেদনা অনুভব করছি। জামায়াতের একজন মহিলা সদস্যা (রুকন) হিসাবে তিনি সারা জীবন ইসলামী সমাজ কায়েম করার জন্য সংগ্রাম করে গিয়েছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীরসহ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন দায়িত্ব পালনকালে তিনি অধ্যাপক গোলাম আযম রাহিমাহুল্লাহকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করে গিয়েছেন। তিনি তার সারা জীবন যে ত্যাগ স্বীকার করে গিয়েছেন তার কোন তুলনা হয়না। তার ৪র্থ পুত্র সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে তার বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। পুত্র শোকের বিরাট বেদনা নিয়েই তিনি ইন্তেকাল করেছেন।
শোকবাণীতে তারা আরো বলেন, বেগম আফিফা আযম (রাহিমাহুল্লাহ)-কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাকে নিরাপত্তা দান করুন। তাকে সম্মানিত মেহমান হিসেবে কবুল করুন ও তার কবরকে প্রশস্ত করুন। তার গুণাহখাতাগুলোকে নেকিতে পরিণত করুন। তার জীবনের নেক আমলসমূহ কবুল করে তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দান করুন।
শোকবাণীতে তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তারা বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাদেরকে এ শোকে ধৈর্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন।