করোনার ভয়াবহতা পৃথিবীকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে । করোনায় এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে চুয়াল্লিশ লাখেরও বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। মানুষ আজ বড়ই অসহায়। আমরা অবাক হয়ে দেখি যে, দুর্যোগকালেও জুলুম-নির্যাতন থামেনি, লুটপাট কমেনি, অসহায় মানুষের পাশে সরকার যথার্থভাবে পাশে দাঁড়ায়নি। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। এসব থেকে মুক্তি পেতে হলে ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র ছাড়া মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। মহানবী (ﷺ) সহ সকল নবীদের কে আল্লাহ তাআলা মানুষের কল্যাণে ভূমিকা রাখার জন্য প্রেরণ করেছেন। নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নবীগণ ইসলামী আন্দোলন করেছেন। সর্বশেষ প্রিয় নবী (ﷺ) মদীনায় ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে মানবতাকে গোলামীর নাগপাশ থেকে মুক্ত করেছেন। এ জন্য বহু ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। নরসিংদী জেলা শাখা জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক ভার্চুয়ালি আয়োজিত দায়িত্বশীল সমাবেশে বক্তৃতা দানকালে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান এ কথা বলেন।
নরসিংদী জেলা শাখার আমীর মাওলানা মোছলেহুদ্দীনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সাবেক এমপি ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ। আরো বক্তব্য রাখেন নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব সাইফুল আলম খান মিলন, এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য জনাব আব্দুল জাব্বার ।
আমীরে জামায়াত বলেন, ইসলামী জীবনাদর্শের কোনো ক্ষয় নেই। কোনো প্রতিবন্ধকতা এর গতি রোধ করতে পারে না। আমরা ঈমানের মজবুতি নিয়ে এগিয়ে গেলে আল্লাহ তাআলা আমাদের সাহায্যকারী হয়ে যাবেন। তিনি করোনা মহামারিতে মানুষের পাশে থেকে সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, যিনি দাওয়াতে দ্বীনের কাজ করবেন, তাঁকে শাহাদাতে হকের সাক্ষী হতে হবে। কথায় ও কাজে মিল থাকতে হবে। দুনিয়ার রঙে রঙীন না হয়ে বরং আল্লাহর রঙে জীবনকে সাজাতে হবে। রাতের ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে।
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ইসলামী জীবন ব্যবস্থা আগামী দিনের বাস্তবতা। মানুষের জন্য ইসলামী জীবন ব্যবস্থার বাস্তবায়ন আজ খুব প্রয়োজন।
বিশেষ অতিথি জনাব সাইফুল আলম খান বলেন, আমাদের পরিবারগুলো যেন শরীয়া অনুসরন করে, সে বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। চক্ষুশীতলকারী পরিবার গঠন করতে হবে। সন্তানদের ইসলামী আদর্শের উপর গড়ে তুলতে সচেষ্ট হতে হবে।
এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) নজীর তুলে ধরে বলেন, তাঁরা অনুসরণযোগ্য শ্রেষ্ঠ মানুষ। তাদের ত্যাগ ও কুরবানী কিয়ামত পর্যন্ত মানুষকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।