বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানসহ ৫ জনকে ২ দিনের রিমান্ডে নেওয়া ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১২ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গত ৬ সেপ্টেম্বর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ৭ সেপ্টেম্বর তাদেরকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ১২ সেপ্টেম্বর তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয় এবং আরো ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। বিজ্ঞ আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেফতার থেকে আজ পর্যন্ত ৬ দিন যাবত জামায়াতের নেতৃবৃন্দ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাযতে রয়েছেন। তারা সকলেই সম্মানিত ব্যক্তি। এর মধ্যে ২ জন সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য। একজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য। অন্যান্যরা সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ও সম্মানিত। তাদের সম্মান ও মর্যাদার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন না করে ও হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসরণ না করে রিমান্ডে নিয়ে তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করা হয়েছে। বার বার রিমান্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে মহামান্য হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুসরণ না করে আজ আবারও তাদেরকে রিমান্ডে নেওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। সরকার জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ণের পথ গ্রহণ করেছে।
পুলিশ ১১ সেপ্টেম্বর রাতে রংপুর মহানগরী শাখার সেক্রেটারি জনাব ওবায়দুল্লাহ সালাফিকে, ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল পৌরসভা শাখার নায়েবে আমীর জনাব রফিকুল ইসলামসহ ২ জনকে এবং ৯ সেপ্টেম্বর খুলনা থেকে ২ জনকে এবং ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। আমরা সরকারের এই গ্রেফতার ও আইনবহির্ভূত আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গণতন্ত্র হরণ করে জুলুম-নিপীড়ণ চালিয়ে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা যায় না। জনগণ সরকারের জুলুম নিপীড়ণে অতিষ্ঠ।
আমরা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের রিমান্ড বাতিল করে অবিলম্বে সারাদেশে গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”