কুমিল্লায় কুরআন অবমাননার ঘটনা প্রমাণিত সত্য। যা সকল বিবেচনায় নিতান্তই জঘন্য ও উস্কানিমূলক। সিসি ক্যামেরায় তা নিশ্চিত ধরা পড়ার কথা। যে বা যারা এই জঘন্য কাজ করেছে, সেই ঘৃণিত লোকদেরকে ক্যামেরার ফুটেজ থেকে নিশ্চিত করে পাকড়াও করা মোটেও কোন কঠিন কাজ নয়।
এখন পর্যন্ত এ ধরনের কার্যকর কোন পদক্ষেপ দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করা যায়নি। তা নিন্দা জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। প্রয়োজনে সেই ফুটেজ জনগণের সামনে প্রকাশ করা হোক। জনগণই দুঃষ্কৃতিকারীদেরকে ধরিয়ে দিতে সহায়তা করবে।
দেশে চরম অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার এ এক গভীর ষড়যন্ত্র। পুলিশ প্রতিবাদী জনতার বুকে গুলি চালিয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে অত্যন্ত নির্মমভাবে (বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী) অন্তত ৪ জন লোককে হত্যা করেছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা তাদের এই ত্যাগ ও শাহাদাতকে কবুল করুন। আরও অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত অবস্থায় হায়াত-মউতের সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
সেখানে গুলিই কি একমাত্র সমাধান ছিলো? নাকি চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয়? এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কার্যত চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
আমরা বাংলাদেশের মুসলমানদের প্রতি আন্তরিক আহবান জানাবো, অনুগ্রহ করে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। তবে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকার সকলেরই রয়েছে।
ষড়যন্ত্রকারীদের সকল ষড়যন্ত্র থেকে সাবধান থাকুন।
আল্লাহ তা’য়ালা এই দেশ এবং জাতিকে হেফাজত করুন। আমীন।।