কতিপয় বিপথগামী ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের শিকার হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন কুয়েট শিক্ষক ও প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন…।
তার এইভাবে বিদায় নেওয়াটা নিঃসন্দেহে খুবই মর্মান্তিক। প্রখর মেধাবী হওয়ার কারণেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদানের সুযোগ পান। আর সরকারী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেধায় এগিয়ে থাকা ছাত্ররাই সাধারনত ভর্তি হয়ে থাকেন। এ রকম একটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে কল্পনাই করা যায় না যে, একজন শিক্ষক তারই ছাত্রদের হাতে অপদস্ত হয়ে দুনিয়া ছেড়ে বিদায় নিবেন।
আজ বিশ্ববিদ্যালয়টির জরুরী সিন্ডিকেট সভা হত্যার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। এই পদক্ষেপ একান্তই প্রাথমিক পর্যায়ের। তার পরিবার এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির অভিযোগ, অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনকে এই ছাত্ররাই মানসিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে। এদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ এখনই নেওয়া উচিত।
এই ছাত্র সংগঠনের হাতে এটিই একমাত্র ঘটনা নয়। একটা ছাত্র সংগঠন কতুটুকু সন্ত্রাসী হলে তাদের আপন শিক্ষককেও নির্যাতনে হত্যায় সামান্য কুন্ঠিত হয় না। সমাজের পচনের এ হচ্ছে বাস্তব প্রতিচ্ছবি।