আজ থেকে দুই বছর আগে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। অবশেষে এতোদিন পর এই হত্যাকাণ্ডের রায় প্রকাশ্য আদালতে আসামীদের উপস্থিতিতে ঘোষণা করলেন বিচারক।
দেশবাসীর মনে আবরার ফাহাদের এই নির্মম হত্যাকাণ্ড গভীর রেখাপাত করেছে। বুয়েটের মত একটি স্বনামধন্য সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুয়েটেরই একজন মেধাবী ছাত্রকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা রাতভর অকল্পনীয় পাশবিক নির্যাতন করে যেভাবে হত্যা করেছে, তা সচেতন দেশবাসীকে ভীষণভাবে ভাবিয়ে তুলেছে ।
আবরার ফাহাদের দোষ তাদের দৃষ্টিতে, সে নিয়মিত নামাজ পড়তো, অন্যদেরকে নামাজে উদ্ধুদ্ধ করতো। এবং মাঝে মধ্যে তাঁর ফেসবুক পেইজে একজন দেশপ্রেমিক সচেতন নাগরিক হিসেবে দেশের স্বার্থের পক্ষে ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লেখালেখি করতো। তার শেষ স্ট্যাটাসে ফেনী নদীর পানি নিয়ে বাংলাদেশের স্বার্থ হানিকর যে আয়োজন চলছিলো, সে তার কঠোর প্রতিবাদ করেছিলো। এজন্য তার এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সচেতন দেশপ্রেমিক দেশবাসী বলতে থাকে, “আবরার ফাহাদ তুমিই বাংলাদেশ”।
আবরার ফাহাদ চলে গেছে, ইতিহাসের পাতায় সে অমর হয়ে থাকবে। সে খুলে দিয়েছে দেশবাসীর চোখ। এজন্য তাকে দিতে হয়েছে তার মূল্যবান জীবন উপহার। অন্তরের অন্তস্তল থেকে মরহুম আবরার ফাহাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। হে আল্লাহ্! মর্যাদাবান শহীদ হিসেবে তাকে তুমি কবুল করো।
আজ রায়ে সন্ত্রাসীদেরকে যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তা যেন আগামীর চোরাবালিতে কোনভাবেই হারিয়ে না যায়। দেশবাসীকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। এ রায় অবশ্যই কার্যকর করতে হবে।