বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধ করার ও অতিরিক্ত ভাড়া প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ২১ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,
“বাংলাদেশের বিমানবন্দরে বর্তমানে এক চরম বিশৃঙ্খল পরিবেশ বিরাজ করছে। ফ্লাইট শিডিউলে বিপর্যয়, করোনা টেস্টের জন্য দীর্ঘ লাইন, যাত্রীদের স্ক্যান করার পরও কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে আলাদাভাবে তল্লাশি, লাগেজ পেতে বিড়ম্বনা, পার্কিং বিড়ম্বনা, মশার উপদ্রব, দালালের উৎপাতসহ এক ভয়াবহ হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজমান। অনেকে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হয়েও অতিরিক্ত বিড়ম্বনার ফলে নির্দিষ্ট ফ্লাইট মিস করছেন। এসব কারণে যাত্রীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়ে বিমানবন্দরে প্রতিনিয়ত ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
একদিকে প্রবাসীদের যেমন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে অপরদিকে অসাধুভাবে বিমানের ভাড়া বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে কয়েক গুণ। ঢাকা থেকে সৌদি আরবের রিয়াদের ভাড়া পূর্বে ৩৬ হাজার টাকা হলেও বর্তমানে নেয়া হচ্ছে ৯৫ হাজার টাকা। ঢাকা থেকে বাহরাইনের ভাড়া পূর্বে ৩৫ হাজার টাকার জায়গায় বর্তমানে নেয়া হচ্ছে ৭০ হাজার টাকা। ঢাকা থেকে ওমানের ভাড়া পূর্বে ৩০ হাজার টাকা হলেও এখন নেয়া হচ্ছে ৭০ হাজার টাকা। ঢাকা থেকে কাতারের ভাড়া পূর্বে ছিল ৩০ হাজার টাকা যা বর্তমানে নেয়া হচ্ছে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত। একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে সিন্ডিকেট করে বিমানের ভাড়া বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারের নিরব ভূমিকা গোটা প্রশাসন ব্যবস্থাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বহিঃর্বিশ্বে দেশের ভাবমর্যাদা চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে।
প্রবাসীরা হলেন দেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধা। দেশের প্রায় ১ কোটি প্রবাসী নিজেদের পরিবার-পরিজন ছেড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন এবং দেহের ঘাম ঝরিয়ে বাংলাদেশের উন্নতি ও অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। এসকল রেমিট্যান্স যোদ্ধারা যখন বিমানবন্দরে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হন তখন তা খুবই কষ্টকর এবং জাতি হিসেবেও আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।
অবিলম্বে বিমানবন্দরে প্রবাসীদের উপর সকল প্রকার হয়রানি বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার ও বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”