বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিলেট দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য, সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মাদী ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ, রাখালগঞ্জ দারুল কুরআন ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক মুহাদ্দিস, গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবাদ পূর্বপাড়ার বাসিন্দা প্রখ্যাত মুহাদ্দিস মাওলানা কুতুব উদ্দিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৪ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টার দিকে ৭৬ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র ও ১ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। ১৫ জানুয়ারি বাদ জোহর লক্ষণাবাদ হাফিজি মাদ্রাসায় জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শোকবাণী
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস মাওলানা কুতুব উদ্দিনের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১৫ জানুয়ারি ২০২১ এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, প্রখ্যাত মুহাদ্দিস মাওলানা কুতুব উদ্দিনের ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ দাঈকে হারালাম। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। মুফাস্সিরে কুরআন ও দাঈ ইলাল্লাহ হিসাবে সিলেট অঞ্চলে তাঁর অনেক সুনাম ছিল। হকের মঞ্জিলের দিকে তাঁর পথচলা ছিল নিরন্তর। ইলমে দ্বীনের যে নূর তিনি ছড়িয়ে গেছেন, সে নূর সমাজকে যুগ যুগ ধরে আলোকিত করুক। তাঁর ইন্তিকালে জাতি একজন খ্যাতিমান আলেমে দ্বীনকে হারাল। মহান রব তাঁর শূন্যতা পূরণ করে দিন। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
শোকবাণীতে তিনি আরো বলেন, আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাঁর এই গোলামের তামাম জিন্দেগীর নেক খেদমতগুলোকে কবুল করুন। আল্লাহ্ পাক তাঁর জীবনের ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো মেহেরবাণী করে ক্ষমা করুন এবং তাঁকে জান্নাতের আ’লা দারাজা জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন। তাঁর রেখে যাওয়া আমানত তাঁর সহকর্মী ও শুভাকাক্সক্ষীদেরকে আল্লাহ্ তাআলা রক্ষা করার তাওফিক দান করুন। আমি তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, শুভাকাক্সক্ষী ও ছাত্রদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
অপর এক যুক্ত শোকবাণীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিলেট দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার আমীর অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, নায়েবে আমীর মাওলানা লোকমান আহমদ ও সেক্রেটারি জনাব মো: নজরুল ইসলাম গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, মুহাদ্দিস মাওলানা কুতুব উদ্দিন ছিলেন হাজারো আলেমের ওস্তাদ। ইলমে ওহীর শিক্ষাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে তিনি নিরলসভাবে কুরআনের তাফসীর করে গিয়েছেন। ইসলামী আন্দোলনের একজন দাঈ ইলাল্লাহ হিসেবে তাঁর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। আল্লাহ তায়ালা তাঁর জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে দাখিল করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।