২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার একটি মিলনায়তনে জনাব মতিউর রহমান আকন্দ রচিত ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরঃ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়।
বইটির লেখক জনাব মতিউর রহমান আকন্দ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমাদের প্রিয় সহকর্মী জনাব মতিউর রহমান আকন্দ লেখালেখিতে প্রাণবন্ত এবং সক্রিয়। সম্মানিত সুধিমন্ডলি, আজ ২০ ফেব্রুয়ারি কিছুক্ষণ পরেই জনাব মতিউর রহমান আকন্দ রচিত ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরঃ প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ নামক বইটির মোড়ক উন্মোচন করতে যাচ্ছি। জাতির একজন বিবেকবান নাগরিক হিসেবে তিনি তাঁর ভাবনাগুলো এখানে তুলে ধরেছেন। আমরা এখন এই বইটির মোড়ক উন্মোচন করেই দুই একটা কথা বলতে চাচ্ছি। আমরা মহান আল্লাহর নামে এই বইটির মোড়ক উন্মোচন করছি। আল-হামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালা এই বইটিকে এই জাতির কল্যাণের জন্য কবুল করুন, আমীন।
আমাদের প্রত্যাশা অনেক এবং সবটুকু ন্যায্য। কিন্তু পূরণ হয়েছে তার খুবই ক্ষুদ্র অংশ। আশা করি এই বইয়ের মাধ্যমে আমরা বিশদভাবে আরো জানতে পারবো। জাতি এই বই থেকে একটা গাইড লাইন পাবে ইনশাআল্লাহ। আমরা দোয়া করি এই বইটি জাতির নব জাগরণে সহায়ক হোক। তিনি জাতির ভবিষ্যত আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এই বইটি লিখেছেন। মহান রব তার এই খেদমত কবুল করুন। তার হাতকে আরোও শক্তিশালী করুন। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে মেধা এবং যোগ্যতা দিয়ে পরিপূর্ণ করুন। তরুণদের মধ্য থেকে এবং সহকর্মীদের মধ্য থেকে আরোও কলম সৈনিকরা এগিয়ে আসুক। সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আমরা এই বইটি জাতির সামনে তুলে ধরলাম।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছরে বিশেষ করে ২১ ফেব্রুয়ারির এই গুরুত্বপূর্ণ মাসে এই ধরনের প্রকাশনা আমরা মনে করি নিঃসন্দেহে আমাদের আগামী দিনের পথ চলার জন্য আমরা যারা লিখি ও গবেষণা করি এবং এই অঙ্গণে কাজ করি তাদের জন্য উৎসাহের কারণ হবে।
আমি আশা করি এবং বিশ্বাস করি এই বইয়ের মধ্যে অভিজ্ঞতা লব্ধ অবস্থান বর্ণনা করা হয়েছে এবং প্রত্যাশার ক্ষেত্রে আমরা কোন্ পর্যায়ে রয়েছি আর আমাদের প্রাপ্তি কী ছিল তা খুব সুন্দর করে জাতির সামনে তুলে ধরা হয়েছে। ইসলামী আন্দোলনকে বেগবান ও জনগণকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করতে এবং আগামী দিনে দেশ ও জাতি গঠনে এই বইটি গুরুত্বপ‚র্ণ অবদান রাখবে- সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে সবাইকে বইটি সংগ্রহ করার এবং বইটি পড়ে নিজেদেরকে উজ্জীবিত করার আহবান জানাচ্ছি এবং লেখককে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
বইটির লেখক জনাব মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘আমি আল্লাহ তায়ালার দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি এবং অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে সম্মানিত আমীরে জামায়াতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এই কারণে যে, হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও তিনি আমাদেরকে সময় দিয়েছেন। আপনারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং জাতীয় পত্রপত্রিকায় লক্ষ্য করেছেন সংগঠনের জন্য তিনি বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন। এর মধ্যে একটু সময় বরাদ্দ করার কারণে সত্যিই উনার প্রতি আমি ব্যক্তিগতভাবে কৃতজ্ঞ থাকবো। দ্বিতীয়তঃ গত বছর ২৬ মার্চ-কে সামনে রেখে উনি জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণ দিয়েছিলেন এবং আহবান রেখেছিলেন সেই বক্তব্যে তিনি গোটা বছরব্যাপী স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করেছিলেন। সেই কর্মসূচির একটি অংশ হিসেবে এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা ছিল যে এই ধরনের একটি প্রকাশনা যাতে বের হয়। আমি চেষ্টা করেছি সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের, আলহামদুলিল্লাহ। বাংলাদেশের প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তি এক বিশাল ব্যাপার।
আমরা যা পেয়েছি তার চেয়ে আরোও অনেক বেশি পাওয়া উচিত ছিল। কী জন্য এটা পেলাম না তারই একটি বস্তুনিষ্ঠ তথ্য এখানে তুলে ধরা হয়েছে। আমীরে জামায়াত আমাদের জন্য দোয়া করেছেন। আল্লাহ উনার এই দোয়ায় বরকত দিন। এই বইয়ের মাধ্যমে যদি জাতির সামান্যতম খেদমত হয়, তাহলে আমি আল্লাহর কাছে কামনা করবো সেটা যেন কিয়ামতের দিন আমার নাজাতের অসিলা হয়ে যায়। আল্লাহ পাক আমাদের প্রচেষ্টা কবুল করুন। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ এবং আপনাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও দক্ষিণের নায়েবে আমীর জনাব মুঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া, দক্ষিণের সেক্রেটারী ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আব্দুস সবুর ফকির, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, মহনগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী আব্দুস সালাম ও ড. আব্দুল মান্নান প্রমুখ।