বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলার সাবেক আমীর, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সাবেক সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলায় নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান এবং জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, হাজারো আলেমের উস্তাদ অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডলকে মিথ্যা অভিযোগ, দলীয় সাক্ষী ও প্রতিহিংসামূলক তদন্ত ইত্যাদির মাধ্যমে সরকার যে সাজানো বিচারের আয়োজন করেছিলো, তাতে তাঁর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদান করা হয়েছে। তিনি যদি এতোটাই অপরাধী হয়ে থাকতেন, তাহলে তাঁর এলাকার মানুষই তাঁকে সবচেয় বেশি জানার কথা। এরকম একজন লোক কিভাবে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলায় এবং জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন?
এটি দিবালোকের মত স্পষ্ট, ঈমানের ওপর অবিচল থেকে দ্বীন কায়েমের সংগ্রামে যার অংশগ্রহণ মেধা, যোগ্যতা, সততা ও উন্নত নৈতিক চরিত্রের মোকাবেলায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাঁকে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।
দুনিয়ার এই বিচারই চূড়ান্ত বিচায় নয়। আসল বিচারের একটি জায়গা ব্যক্তিগতভাবে সকল মানুষের জন্যই নির্ধারিত আছে। সেই বিচারে যিনি মহান প্রভুর দরবারে জিতে যাবেন, তিনিই জান্নাতি হাসি হাসবেন।
ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে, জামায়াত নেতৃবৃন্দকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করে তাদের অন্তরে লালিত ইসলামের সুমহান আদর্শকে হত্যা করা যায়নি এবং যাবেনা। নেতা-কর্মীদের সীমাহীন ত্যাগ ও কুরবানীর বিনিময়ে প্রিয় দেশের জমিন ইসলামের জন্য ক্রমান্বয়ে উর্বর হয়ে উঠছে।
গভীরভাবে বিশ্বাস করি, ইসলামের সুমহান আদর্শ ইনশাআল্লাহ এ দেশে একদিন প্রতিষ্ঠা পাবেই। হয়তোবা সেদিন বেশি দূরে নয়।