ডাক্তার আহমেদ মাহী বুলবুল ছিলেন একজন দন্ত চিকিৎসক। অতি সম্প্রতি ভোরবেলা ঢাকার মিরপুরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন বলে প্রচার মাধ্যমে জানা যায়। মৃত্যুটি রহস্যজনক বলে জানা যাচ্ছে। যে পুলিশ কর্মকর্তা তার লাশের সুরতহাল করেছেন, তিনি বলেছেন- “তার একটি মোবাইল ছিনতাইকারীরা নিয়ে গেছে। অপর একটি এন্ড্রোয়েড মোবাইল, সোনার আংটি এবং নগদ ১২ হাজার টাকা ছিনতাইকারীরা নেয়নি”।
প্রশ্ন হলো- ছিনতাইকারী তাহলে কি জন্য ছিনতাই করে? ঐ কথিত নির্দিষ্ট মোবাইলটিই কি তাদের টার্গেট ছিলো? তা না হলে ছিনতাইকারীরা সম্পদ ছিনতাই করে নিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখানে তা হলো না।
জানা যায়, তিনি দন্ত চিকিৎসায় খুবই মানবিক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ঠিকাদারি ব্যবসায়ও সম্পৃক্ত ছিলেন। তাহলে এখানে মৃত্যুটা কি ছিনতাইকারীর হাতে নাকি অন্য কিছু?
গত ২৪ মার্চ রাজধানীর রাজপথে সামিয়া আফরান প্রীতি নামে একজন নিরীহ কলেজ ছাত্রী আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পক্ষের দ্বন্দ্বের বলি হয়ে (গুলিবিদ্ধ) দুনিয়া থেকে মার্মান্তিকভাবে বিদায় নিলো।
আইনশৃংখলা বাহিনী আর অসংখ্য টিভি ক্যামেরা নিরীহ নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে কি সম্পূর্ণ ব্যর্থ? ডা. আহমেদ মাহী বুলবুলের অবুঝ দুটি সন্তান, বিধবা স্ত্রী আর বৃদ্ধা মায়ের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। রহস্যজনক এই খুনের যথাযথ কারণ অনুসন্ধান করে দোষীদেরকে শাস্তির আওতায় আদৌ কোনদিন আনা হবে কিনা মহান আল্লাহই ভালো জানেন। সাগর-রুনির কেইসসহ অসংখ্য নিরীহ বনি আদমের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাগুলোই তার সাক্ষী। তাই তো সেদিন সামিয়া আফরান প্রীতির মা-বাবা বলেছেন-“বিচার চাইবো কার কাছে? আমরা দুনিয়ায় কোন বিচার চাইনা”। ন্যায়বিচার উপেক্ষিত জনগণের অন্তরের গভীর বেদনার প্রতিধ্বনি প্রীতির মা-বাবার এ বক্তব্য।