বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর, বিশ্ব বরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন ও সাবেক এমপি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক মন্ডলসহ আটক জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সকল নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিয়ে পরিবারের সাথে মাহে রমাদানের সাওম পালনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ০২ এপ্রিল ২০২২ নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “প্রায় ১২ বছর যাবত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর, বিশ্ব বরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কারাগারে আটক রয়েছেন। বর্তমানে তার বয়স ৮৪ বছর। বয়সের কারণে তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। চলাফেরা, ওঠা-বসা করতে তাঁকে অপরের সহযোগিতা নিতে হয়। জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম প্রায় ১০ বছর যাবত কারাগারে আটক আছেন। তিনিও নানা জটিল রোগে আক্রান্ত। চলাফেরা, ওঠা-বসা করা তাঁর জন্য খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরার জননন্দিত নেতা ও সাবেক এমপি বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক মন্ডল ৭ বছর যাবত কারাগারে বন্দি রয়েছেন। বন্দি জীবনে তিনি হারিয়েছেন তার পুত্রকে। ৭২ বছর বয়স্ক এ বয়োবৃদ্ধ নেতা শারীরিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানসহ সারাদেশে বিপুল সংখ্যক জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী কারাগারে আটক রয়েছেন। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে তাদেরকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।
সরকার দেশের আলেম-উলামা ও ইসলামী ব্যক্তিদেরকে দীর্ঘ দিন যাবত কারাগারে আটক রেখেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পালন করতেন। সরকার তাদেরকে আটক রাখায় বিভিন্ন মসজিদের মুসল্লীগণ তাদের ইমামতিতে সালাত আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে পবিত্র মাহে রমাদানের আগমন ঘটেছে। পবিত্র রমাদান মাসে জুলুম-নিপীড়ন, অন্যায়-অবিচার বন্ধ করে সকল বন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে মুক্ত পরিবেশে পরিবারের সাথে সিয়াম পালনের সুযোগ করে দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যে মাসে রহমতের বারিধারা বর্ষণের ঘোষণা দিয়েছেন, সেই মাসে কোনো জালিম সরকারের জুলুম পরিচালনা করে আল্লাহর গোলামদের কষ্ট দেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই।
আমরা সকল ধরনের জুলুম-নিপীড়ন বন্ধ করে পবিত্র রমাদানের সূচনালগ্নে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক মন্ডল, মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানসহ গ্রেফতারকৃত জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সকল নেতা-কর্মীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”