দুনিয়ার সকল ভাষা-ই মহান প্রভুর দান। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা যে সমাজেই তাঁর প্রিয় নবী-রাসূলগণকে পাঠিয়েছেন, তাদেরকে স্বজাতির ভাষায় দ্বীন প্রচার ও প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব দিয়েছেন। অসংখ্য নবী-পয়গাম্বর দুনিয়ায় এসেছিলেন। আর এ ধারার সর্বশেষ নিয়ামত বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। নবী-পয়গাম্বরগণ সকলেরই দায়িত্ব ছিলো ওয়াহেদ আল্লাহর গোলামীর দিকে মানুষকে আহবান জানানো এবং শিরক বিসর্জন দেয়া।
বাংলাদেশের মানুষ সৌভাগ্যবান। এদেশের ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান পরিচয়ে পরিচিত। মাঝে মধ্যে মুক্তবুদ্ধি চর্চার নামে কতিপয় মতলববাজ শিরকের অপবিত্রতা সমাজে ছড়িয়ে দিতে চায়। পহেলা বৈশাখ পালন করার নামে মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন সত্তার কাছে কোন কিছু চাওয়া তথা গ্লানি মুছন ও কল্যাণ কামনা একজন মুসলমানের জন্য চরম অন্যায় ও অবৈধ। এখানে সার্বজনীনতার নামে কোন শিরকী আচরণ একেবারেই পরিত্যাজ্য। সব কিছুই চাইতে হবে মহান প্রভুর কাছে। কারণ তিনি আসমান-জমিনসহ যাবতীয় সৃষ্টির একমাত্র স্রষ্টা ও প্রতিপালক। কোন কিছু দেবার ক্ষমতা কেবলমাত্র তাঁরই আছে, বাকী সব মিথ্যা।
তাই আসুন, শিরক বর্জন করি, যা চাওয়ার কেবল মহান রাব্বুল আলামীনের কাছেই চাই। বলি, হে আল্লাহ! আগামীর দিনগুলো তোমার পছন্দের আলোকে আমাদেরকে সাজানোর তাওফিক দান করো। আমাদেরকে তোমার পক্ষ থেকে তামাম কল্যাণ ও বারাকাহ দিয়ে উপকৃত করো। আমীন।।