বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ব্যক্তিগত সফলতার জন্য প্রশিক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আমরা জ্ঞানের ঘাটতি পূরন করবো, যোগ্যতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করবো। যোগ্যতা, দক্ষতা যাদের আছে, আল্লাহ তায়ালা নেতৃত্ব তাদের হাতেই দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমরা পরিবর্তন করতে চাই। এটা আমরা সবসময় বলে আসছি। তার আগে নিজেদেরকে পরিবর্তন করতে হবে। সেই পরিবর্তনের জন্য আমাদের যেমন মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে, তেমনিভাবে মাঠে ভূমিকা রাখার জন্য এগিয়ে যেতে হবে। সমাজ পরিবর্তনে দায়িত্বশীলদের অগ্রনী ভূমিকা পালনের জন্য তিনি আহবান জানান।
বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত লিডারশীপ ওয়ার্কশপ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় লিডারশীপ ওয়ার্কশপ এ আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভুইয়া, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী যথাক্রমে এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন ও দেলওয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী কামাল হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নানসহ মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন থানা ও বিভাগের আমীর/সভাপতি, নায়েবে আমীর ও সেক্রেটারীবৃন্দ।
ডা. শফিকুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ব্যক্তিগত সফলতার জন্য প্রশিক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আমরা জ্ঞানের ঘাটতি পূরন করবো, যোগ্যতা, দক্ষতা বৃদ্ধি করবো। যোগ্যতা, দক্ষতা যাদের আছে, আল্লাহ তায়ালা নেতৃত্ব তাদের হাতেই দেন। এটাই আল্লাহর বিধান। নিজেদেরকে জনগনের খেদমতের জন্য তৈরি করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করাই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তিনি কুরআনের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, সেই ব্যক্তি সফল হবে, যিনি নিজেকে তাজকিয়া করতে পারলো, সংশোধন করতে পারলো। সংশোধনের এই ধারায়ই আমরা আছি। আজীবন থাকবো। মনজিলে পৌছতে হলে প্রতিনিয়ত নিজেদেরকে সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমরা পরিবর্তন করতে চাই। এটা আমরা সব সময় বলে আসছি। তার আগে নিজেদেরকে পরিবর্তন করতে হবে। সেই পরিবর্তনের ৩টি দিক রয়েছে। প্রথম হলো, যেই পরিবর্তনটা আমরা চাই, তার পর্যাপ্ত জ্ঞান আছে কিনা? দ্বিতীয় হচ্ছে সেই পরিবর্তনের জন্য কৌশল উদ্ভাবন করা। তৃতীয় হচ্ছে, সামর্থকে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজে লাগানো। এই তিনটার যখন সমন্বয় হয়, তাহলে মানুষ পরিবর্তন আশা করতে পারে। এর যে কোন একটা ঘাটতি হলে কাঙ্খিত মানের পরিবর্তন সম্ভব নয়।
মহানগরী দক্ষিণকে রোল মডেলের ভূমিকা পালনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সমাজের সর্বস্তরে দ্বীনের দাওয়াত পৌছে দিতে হবে। জনগনের সেবায় জনগনের দোড়গোরায় পৌছে যেতে হবে। জনগনের প্রত্যাশা পূরণে যেন আমাদের যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সেই পরিবর্তনের জন্য আমাদের যেমন মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে, তেমনিভাবে মাঠে ভূমিকা রাখার জন্য এ গিয়ে যেতে হবে। জাতির কল্যাণে আমরা যেন যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারি আল্লাহ যেন আমাদের সেই তৌফিক দান করেন।
সভাপতির বক্তব্য নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জ্ঞানের বিষয়ে গভীরতা অর্জনের পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন দৃষ্টিভঙ্গির সাথে ত্যাগ ও কুরবাণীর মানসিকতায় নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে। তৃণমূলে নেতৃত্ব বিকাশে দায়িত্বশীলদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, সরকার অন্যায়ভাবে জামায়াতের নেতাকর্মীদের আটকে রেখেছে। তিনি অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবী করেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও মানুষের কল্যাণে সবসময় মানুষের পাশে থাকে। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও আর্ত মানবতার জন্য কাঙ্ক্ষিত কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি দায়িত্বশীলদের আরও বলিষ্ঠ ভুমিকা পালনের আহবান জানান।
ডা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ঈমানের আলোকে ইলম, ইলমের আলোকে আমল এবং সেই অনুপাতে ময়দানে তৎপরতা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠনে এখনই মানুষকে সজাগ হতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী পরকালীন জবাবদিহীতার চিন্তা নিয়ে সকল মানুষের জন্য একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। আমাদের দিক নির্দেশনার জন্য রয়েছে মহাগ্রন্থ আল কুরআন। যেখানে মানবজাতির কল্যাণ ও মুক্তির সকল দিক নির্দেশিত রয়েছে। তিনি জামায়াতে ইসলামীর ডাকে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান।