দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জনগণের দাবি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে দল নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবিতে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আর এ আন্দোলনে দল-মত-নির্বিশেষে সকলের ভূমিকা থাকা দরকার।
১৫ মে জামায়াতে ইসলামী বগুড়া অঞ্চলের জেলা কর্মপরিষদ সদস্যদের নিয়ে স্থানীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বগুড়া অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনও আওয়ামী মহাজোট সরকারের পছন্দের এবং আজ্ঞাবহ। তাদের ভূমিকা অতীতের বিতর্কিত দুই নির্বাচন কমিশনের মতই হবে বলে জনগণের বিশ্বাস। তাই নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায়ের জন্য জনগণকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও যদি এই জাতি আওয়ামী স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে না পারে, তাহলে জাতির ভাগ্য গহীন অন্ধকারে ডুবে যাবে। আর এ সরকার যতই আকর্ষণীয় ওয়াদা দিক না কেন, তাদের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। ইতোপূর্বে তারা তা প্রমাণ করেছে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে আমীরে জামায়াত বলেন, দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্দ্ধগতিতে সকল নাগরিক চরম ভোগান্তিতে আছে। এমন পরিস্থিতিতে জনস্বার্থে ভোজ্যতেলসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করায় পুলিশ জামায়াত নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে।
সম্প্রতি ১১৬ জন আলেমকে নিয়ে একটি কুচক্রী মহল যে চক্রান্ত করছে সরকার তাদের মদদ দিচ্ছে এবং এটা নিয়ে সরকার বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আলেম-উলামাদের কোনো অপমান সহ্য করা হবে না।
দায়িত্বশীলদের উদ্দেশে আমীরে জামায়াত বলেন, মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় জামায়াত নেতা-কর্মীদের সবার আগে পাশে দাঁড়াতে হবে। সব সময় আর্ত-মানবতার কল্যাণে কাজ করতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের লক্ষ্যে শহীদদের রেখে যাওয়া পতাকা দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরতে হবে।
শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল। কুরআন অনুশীলন, মূল্যায়নসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করেন বগুড়া অঞ্চলের টিম সদস্য ও জেলা আমীরগণ।