বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক সভা সংগঠনের আমীর ডাঃ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক অবস্থা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ বিস্তারিত আলোচনার পর নিম্নোক্ত প্রস্তাব গ্রহণ করে:
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ লক্ষ্য করছে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে প্রায় ১১ বছর যাবৎ এবং সাবেক এমপি অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক মণ্ডলকে ৭ বছর যাবৎ কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। এছাড়া জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য জনাব শাহজাহান চৌধুরীকে দীর্ঘ দিন যাবৎ রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।
গত ২৫ মে আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে স্থাপিত একটি বিশেষ আদালতে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে একটি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় হাজির করা হয়। কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসার পথে শারীরিকভাবে তিনি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। কয়েকবার তিনি বমি করেন। এমনকি জ্ঞান হারানোর মত ঘটনাও ঘটে। এভাবে হয়রানি করে প্রকারান্তরে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার উচ্চ আদালত থেকে সকল মামলায় জামিন পাওয়ার পর ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ কারাগার থেকে বের হবার পূর্ব মুহূর্তে তাঁকে আরো দুটো মামলা দিয়ে আটক রাখা হয়। ঐ মামলায় তিনি আবারো উচ্চ আদালত থেকে জামিনপ্রাপ্ত হন। এরপরও সরকার তাঁকে মুক্তি না দিয়ে অন্যায়ভাবে আটক রেখেছে। আদালতের আদেশ অমান্য করে গোলাম পরওয়ারকে আটক রেখে একদিকে সরকার তাঁর প্রতি চরম জুলুম করেছে, অপরদিকে আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ লক্ষ্য করছে যে, দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। সরকার দেশের আইন, সংবিধান কোনো কিছুর তোয়াক্কা করছে না। আদলতের কোনো আদেশই সরকার মানছে না।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ অবিলম্বে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, এটিএম আজহারুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক মণ্ডল, মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও জনাব শাহজাহান চৌধুরীসহ গ্রেফতারকৃত জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সকল নেতা কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছে।