বিদেশে পাচার করা অবৈধ অর্থ সাধারন ক্ষমা ঘোষণার মাধ্যমে ট্যাক্স পরিশোধ শর্তে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আসন্ন বাজেটে প্রস্তাবনার যে কথা শুনা যাচ্ছে, তা আইনগত ও নৈতিক বৈধতার সম্পূর্ণ পরিপন্থি। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, দখলবাণিজ্য এবং লুটপাটের মাধ্যমে গত দেড় দশক ধরে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতিবাজরা অর্থের যে পাহাড় গড়ে তুলেছে, দেশের ভিতরে তা হজম করতে পারবে না বলেই বিদেশে পাচার করেছে।
কার্যত এই অর্থের মালিকানা এ দেশের মজলুম ও বঞ্চিত জনগণের। সরকারের কোনো অধিকার নেই জনগণের এই সম্পদ ট্যাক্স গ্রহণের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজদের হাতে তোলে দেওয়ার। একটি সরকার কতটা নির্লজ্জ ও বেপরোয়া হলে দুর্নীতির সাথে আপোষ ও দুর্নীতিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে পারে। এ রকম পদক্ষেপ নিলে, দুর্নীতির খোলামেলা ও বেপরোয়া প্রতিযোগিতা শুরু হবে।
কার্যত দলীয় দুর্নীতিবাজ ও অনুগত প্রশাসনিক দুর্নীতিবাজদেরকে অবারিত সুযোগ দেওয়ার জন্যে বাজেটে এ অনৈতিক প্রস্তাব পেশ করা হচ্ছে। দেশবাসীকে এই অনৈতিকতা রুখে দিতে হবে। সিভিল সোসাইটির যারা জাতীয় জীবনের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদেরকে নিজেদের ভূমিকা স্পষ্ট করতে হবে।
বাজেটে এ ধরনের প্রস্তাবনা জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে।