বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর কর্মপরিষদ ও শূরা সদস্য এবং পাঠাগার ও প্রকাশনী সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ০৮ জুন সকাল ৬টায় ৬২ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র ও ৩ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। ০৮ জুন বিকাল সাড়ে ৫টায় হাতেম খাঁ গোরস্থানের উত্তর পার্শ্বে কাদিরগঞ্জ ঈদগাহ ময়দানে জানাযা শেষে তাঁকে হাতেম খাঁ কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শোকবাণী
ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ০৮ জুন ২০২২ এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদের ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ দাঈকে হারালাম। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
শোকবাণীতে তিনি আরো বলেন, তাঁকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাঁর কবরকে প্রশস্ত করুন। তাঁর গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।
অপর এক যুক্ত শোকবাণীতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরী আমীর মাওলানা ড. কেরামত আলী ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাহবুবুল আহসান বুলবুল গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক জীবন-যাপনের চেষ্টা করতেন। তিনি দ্বীন প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গিয়েছেন। আমরা তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। আল্লাহ তায়ালা তাঁর জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে দাখিল করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।