বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কিশোরগঞ্জ সদরের প্রবীণ মহিলা সদস্য (রুকন) সুফিয়া খাতুন হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে ১২ জুন বিকাল পৌণে ৪টায় ৭০ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি স্বামী, ৪ পুত্র ও ১ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। ১৩ জুন সকাল ১০টায় সদর উপজেলার চৌদ্দশত গ্রামের নিজ বাড়িতে জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মাওলানা মোশাররফ হোসেন লোকমানের ইমামতিতে জানাযায় অংশগ্রহণ করেন জেলা আমীর অধ্যাপক রমজান আলী, অধ্যাপক মোসাদ্দেক ভূঞা, ক্বারী নজরুল ইসলামসহ বহু মুসল্লী।
শোকবাণী
সুফিয়া খাতুনের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১৪ জুন ২০২২ এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, সুফিয়া খাতুনের ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ দাঈ বোনকে হারালাম। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
শোকবাণীতে তিনি আরো বলেন, তাঁকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাঁর কবরকে প্রশস্ত করুন। তাঁর গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।
অপর এক যুক্ত শোকবাণীতে জামায়াতে ইসলামী কিশোরগঞ্জ জেলা আমীর অধ্যাপক রমজান আলী ও সদর উপজেলা আমীর ক্বারী নজরুল ইসলাম গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, সুফিয়া খাতুন ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক জীবন-যাপনের চেষ্টা করতেন। তিনি মহিলাদের মাঝে দ্বীন প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গিয়েছেন। আমরা তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। আল্লাহ তায়ালা তাঁর জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে দাখিল করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।