দেড় মাসের ব্যবধানে ফের ভয়াবহ বন্যা। যা সিলেটের জীবিত কোনো মানুষ স্মরণ করতে পারছেন না, অতীতে এমন বন্যা কখনো তারা দেখেছেন কিনা। এবারের বন্যায় প্রধান-প্রধান সড়ক আর নদীপথ সবই একাকার। সুনামগঞ্জ শহর পুরোটা এবং সিলেট শহরের বেশিরভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গিয়ে ঘর-বাড়ি ডুবিয়ে দিয়েছে। এদিকে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের বন্যার অবস্থাও একই রকম ভয়াবহ।
গতকাল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরো জেলা চারটিতেই বিঘ্নিত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে যাওয়া এলাকাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। শহরের রাস্তাগুলোতে মাঝারি আকারের নৌকা চলছে। অধিকাংশ গ্রাম এলাকার মানুষ আশ্রয়ের সন্ধানে বের হতে চাইলেও পর্যাপ্ত নৌকা না থাকায় পানির সাথে বাধ্য হয়েই গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। শিশু-আবাল, বৃদ্ধ-বণিতা সকলেই এখন পানির ওপরে ভাসছেন।
গভীর বেদনার বিষয়! এখন পর্যন্ত এ বিষয়টি সরকারের কাছে তেমন কোনো গুরুত্বই পায়নি। তাহলে কি সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর চোখ খুলবে?
অবিলম্বে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে পানিবন্দি জনগণকে উদ্ধার ও পর্যাপ্ত ত্রাণ তৎপরতা চালানোর জন্য কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, এ জেলা চারটিও বাংলাদেশের অংশ।
এই কঠিন অবস্থায় সর্বোচ্চ সামর্থ নিয়ে প্রাণপ্রিয় মজলুম সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংশ্লিষ্ট এলাকার ভাইদেরকে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি। পাশাপাশি সমাজের সামর্থবান ও হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে
আমাদের অনুরোধ, মানবিক এই বিপর্যয়ে যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করুন।
আসুন, সবাই মিলে মহান প্রভুর দরবারে এ কঠিন বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ধরনা দেই।
মহান আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। আমীন।।