আলহামদুলিল্লাহ। আজ সকাল থেকে পুরো দিনটাই সিলেটের বন্যা কবলিত দুঃখী মানুষের সাথে কাটলো। গতকালও যে সমস্ত বাসা-বাড়িতে মানুষ দুরু দুরু আশা নিয়ে বসবাস করেছিলেন, আজকে প্রায় তাদের সকলেরই ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এর সাথে আমার ক্ষুদ্র ঠিকানাটিও এবং এটাই স্বাভাবিক।
গ্রাম থেকে বিপন্ন মানুষ পানি সাঁতরিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবন বাঁচাবার তাগিদে শহরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার বহুতল বিল্ডিং এর উপর তলায় আশ্রয় নিয়েছে। হাজার-হাজার এই অসহায় মানুষের মুখের দিকে তাকানো যায় না। চোখের পানি ধরে রাখা কষ্ট হয়। সকলের মুখই বিষণ্ন। তাদের ছোট-বড় ঠিকানাগুলোর কি হবে কি হচ্ছে- এটি ভেবে।
যারা কোনো দিন কোন মানুষের সাহায্যের প্রত্যাশা করেনি। আজ তাদের কাছে কোন দরদি মানুষের দেওয়া এক টুকরো শুকনো রুটিও অনেক মূল্যবান। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন পুরো সিলেট এখন একটি ভূতুড়ে জনপদে পরিণত হয়েছে। যোগাযোগের সকল দিক থেকে সকলেই বিচ্ছিন্ন হয়ে মহা প্রভুর রহমতের জন্য কাঙ্গাল হয়ে আছে।
বন্যা কবলিত এলাকায় ট্রাক ছাড়া অন্য কোন যানবাহন চলছে না। ট্রাকও পানি ভেঙ্গে সকল জায়গায় যাচ্ছে না। নৌকা তো নেই বললেই চলে। আগেই বিমানবন্দর অকেজো হয়ে পড়েছে বন্যার পানিতে। আজকে ট্রেন স্টেশনটিও বন্যায় ডুবে যাওয়ার কারণে রেল যোগাযোগও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এক কথায় চোখে না দেখে এই দৃশ্য উপলব্ধি করা অকল্পনীয়। তার সাথে ভারী বৃষ্টি আর পাল্লা দিয়ে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার আতঙ্ক।
হে মহান প্রভু! কেবল আপনারই হুকুমে আসমান থামতে পারে আর জমি পানি শোষণ করে নিতে পারে। প্রভু! রহম করুন, ক্ষমা করুন, আপনার খাস সাহায্য আমাদের জন্য পাঠান।