আলহামদুলিল্লাহ, সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। মহান রবের ত্বরে শুকরিয়া আদায় করে শেষ করা যাবেনা। মানব জাতির কল্যাণের জন্যই আল্লাহ্ তা’য়ালা তাঁর পুরো সৃষ্টি জগতকে সাজিয়েছেন। বিবেকের মত অমূল্য সম্পদ দান করেছেন। গোটা সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠতার মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছেন।
চলার পথ স্বচ্ছ, সুন্দর, উজ্জ্বল এবং কল্যাণময় করার জন্য যুগে-যুগে নবী-পয়গাম্বর, ওহী, কিতাব ও হেদায়েত নাজিল করেছেন। মেহেরবানী করে দুনিয়ার পবিত্র জীবন ও জান্নাতের রাস্তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সৃষ্টির প্রতি বিশেষ করে মানব জাতির প্রতি মানুষের মধ্যে পরস্পরের জন্য ভালোবাসা, দরদ ও দায়িত্ববোধ পয়দা করে দিয়েছেন। দেশ ও স্বজাতির প্রতি বিশেষ অনুভূতি অন্তরে দান করেছেন।
সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় প্রমাণিত হয়েছে, প্রিয় বাংলাদেশের সকল মানুষের অন্তর স্বার্থপরতা ও সংকীর্ণতার কলুষতায় ধ্বংস হয়ে যায়নি। যারা অন্তরে মহান আল্লাহ্র প্রতি ভালোবাসা, আনুগত্য ও ভয় লালন করেন, তারা তাদের সামর্থ উজাড় করে বন্যা কবলিত এলাকায় চরম দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দিন-রাত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। জন্ম এ সমস্ত মানুষেরই সার্থক। তাদের দেখে এ কাজে অন্যদের অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত। না হলে মানব জাতির খাতায় নাম থাকবে কিভাবে?
এ কয়েকটি দিন দেশ ও প্রবাসের বিপুল সংখ্যক ভাই ও বোনেরা দরদমাখা মন নিয়ে স্বতস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসেছেন। আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছেন। তাদের এ মানবিক অভিব্যক্তিতে আমরা আপ্লুত-অভিভূত। মহান রবের দরবারে তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে সর্বোত্তম জাযা কামনা করছি।
মহান প্রভুর অসংখ্য নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার জন্য আসুন না, যে যেভাবে পারি বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যাই। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের সাহায্য ভিক্ষা করে তাদের জন্য চোখের পানি দিয়ে দো’য়া করি।
হে মহান প্রভু! আমাদেরকে ক্ষমা করুন, সীমাবদ্ধতাসমূহ দূর করে দিন। বিপন্ন মানুষের প্রতি ঈমানী-মানবিক দায়িত্ব উত্তমভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমীন।।