মানব ইতিহাসে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বিভিন্ন জাতি, গোষ্ঠী ও সভ্যতার জন্ম দিয়েছেন। মানব জাতিকেই আল্লাহ তা’য়ালা মেহেরবানী করে তাঁর সৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছেন। এটি সকল Individual মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এ ব্যবস্থাপনাকে সুদৃঢ় ভিত্তি দেওয়ার জন্যে যুগে-যুগে মানবতার মহান শিক্ষক ও নেতা হিসেবে নবী-পয়গাম্বরগণকে (আঃ) দুনিয়ার বুকে পাঠিয়েছেন। মহান আল্লাহর নির্দেশনা মোতাবেক তাঁহারা যে সমাজ পরিচালনা করেছেন, সে সমাজেই কেবল সকল নাগরিক সত্যিকার সম্মান ও মর্যাদা ভোগ করেছেন। এর বাহিরে কোন সমাজই ব্যক্তিগতভাবে সকল নাগরিকের সম্মান ও মর্যাদা তাদের হাতে তুলে দিতে পারেনি। এক্ষেত্রে অধুনা বিশ্ব ও প্রাচীনকাল সবই একাকার।
বিশ্ব সমাজ পরিক্রমায় ভালোবাসার জন্মভূমি বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রিয় দেশে যারা রাজনীতি করেন বা করে আসছেন, সকলেই দাবি করেন “আমাদের রাজনীতি জনগণের জন্য”। বাস্তবতা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার সম্পূর্ণ বিপরীত। জনগণকে অনেক ক্ষেত্রেই রাজনীতির পুঁজি হিসেবেই বিবেচনা করা হয়ে থাকে। কেউ কেউ নিজেদের প্রয়োজনে জনগণের জীবন এবং সম্পদ নিয়ে নিজেদের মতোই কাজ করে থাকেন। রাজনীতিতে এটি যেন এক ধরনের বিনিয়োগ। জমিদারদেরকে যেরকমটা খাজনা প্রদান ও জমিদারের চাহিদা মেটাতে তাদের প্রজারা বাধ্য, কর্তৃত্বশীল রাজনীতিতে এমন চিত্রই সচরাচর লক্ষ্য করা যায়। দলের দেওয়া স্লোগানের সাথে এটি মোটেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
জনগণের সম্পদ লুটপাট, ইজ্জতের ওপর হামলা এবং জীবন নিয়ে হোলি খেলার বিকৃত দৃশ্য দেখে দেখে আমাদের দেশ ও জাতি ক্লান্ত এবং বিরক্ত। রাজনীতির এমন জমিদারী মানসিকতা এবং জমিদারী প্রথার ধ্বংস ও বিলুপ্তি সময়ের দাবি। এ দাবি আদায়ে জনগণকেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সত্যিকারার্থে এখানে কেউ জমিদার এবং জনগণ তাদের প্রজা নয়। নাগরিক হিসেবে মহান আল্লাহর সৃষ্টিতে সকলেই সমান।
তাই বলবো, রাজনীতিতে জমিদারী প্রথা থাকতে নেই, রাজনীতি হোক কেবলই জনগণের কল্যাণে। যার প্রমাণ পাওয়া যাবে, জনগণের দুঃখ-মুসিবত আর বিপদ-আপদে। বিজয় হোক মানবতার।