১৭ জুন সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যার সূচনা হয়। দ্রুতই তলিয়ে যায় ফসলের মাঠ, ছোট-বড় রাস্তাঘাট, মাছের খামার ও অন্যান্য জীব-জন্তুর খামারসহ বিপুল পরিমাণ সহায়-সম্পদ। সিলেট এবং সুনামগঞ্জে দ্রুতই বিভিন্ন ঘর-দুয়ার ও বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে। আকস্মিক পানি বৃদ্ধিতে মানুষ হতভম্ব হয়ে পড়েন। মানুষ বাঁচার আশায় ঘর-বাড়ি, সহায়-সম্পত্তি ফেলে একটুখানি নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে দলে-দলে ছুটে চলেন। কারো কারো ক্ষেত্রে সেটাও সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি ছিলো অকল্পনীয়ভাবে ভয়ানক। বুকের সন্তান আর অতি জরুরী যেটুকু সম্পদ কাঁধে নিয়ে সাতরিয়ে পার হওয়া যায়, সেই চেষ্টাটুকুই কেবল করতে পেরেছেন।
গবাদি পশুর কি হবে তাই নিয়ে হয়তো ভাবারই কোন সুযোগ ছিলো না। এ অবুঝ পশুগুলো একেবারেই মহান আল্লাহ্র হেফাজতে ছিলো। যে পরিমাণ ক্ষতি হতে পারতো, তা থেকে আল্লাহ তা’য়ালাই কেবল রক্ষা করেছেন। কোথাও এখন ঘাস-লতাপাতার চিহ্ন-বর্ণ নেই। গবাদি পশুগুলো শুকিয়ে হাড্ডিসার। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন তো ক্ষুধার জ্বালা অন্যকে বলতে পেরেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, মানবতাও তাদের মুখের ভাষা উপলব্ধি করে সাড়া দিয়েছেন। কিন্তু এ অবুঝ পশুগুলোর বুকের ভাষা একমাত্র আল্লাহ তা’য়ালাই বুঝেন। আমরা খুব অল্পই অনুধাবন করেতে পারি। গত ক’দিন হাওরের জনপদে ঘুরে-ঘুরে কষ্টের এই দৃশ্য কিছুটা হলেও উপলব্ধি করা সম্ভব হয়েছে। পশু খাদ্য সহায়তার আজ বড়ই প্রয়োজন। তাই এদের চোখের পানি উপলব্ধি করে আসুন, এবার এ অবুঝ পশুগুলোর জন্য সবাই মিলে সামর্থ অনুযায়ী কিছু একটা করি।
আলহামদুলিল্লাহ, ইতিমধ্যে জনগণের প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৭৫ টন পশু খাদ্যের প্রথম চালান দিয়ে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। সামর্থ্যের আলোকে বৃদ্ধির চেষ্টা অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ। দো’য়া কাম্য।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এ অবুঝ প্রাণীগুলোর প্রয়োজনে আমাদেরকে সঠিক কাজটি করার তাওফিক দান করুন। আমীন।।