গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ি থানার ১১নং ওয়ার্ডের জয়েরটেকস্থ খাজা মার্কেট এলাকা থেকে ১০ জন লোক পদ্মাসেতু ও কুয়াকাটা ভ্রমণে যাওয়ার সময় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হন। ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর নামক স্থানে বাস এবং মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাস্থলেই ৬ জন নিহত হন। বাকি চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান নিহত পরিবারগুলোকে সান্ত্বনা দিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে কোনাবাড়িতে ছুটে আসেন। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে শোকাহত পরিবারের পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান, আত্মীয়-স্বজন এবং এলাকাবাসীর সাথে সাক্ষাত করেন এবং তাদেরকে সান্ত¡না প্রদান করেন।
পরিবারের সদস্য এবং উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমাদের সকলকে একদিন দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হবে। যারা আল্লাহ পাকের এই সিদ্ধান্ত ধৈর্যের সাথে মেনে নিবেন, আল্লাহ পাক তাদের জন্য জান্নাতে বায়তুল হামদ নামে একটি ঘর তৈরি করবেন।”
তিনি সবাইকে সাথে নিয়ে মহান রবের নিকট নিহতদের জন্য দোআ করেন যেন আল্লাহ পাক তাদেরকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করেন এবং শোকাহত পরিবারগুলোকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করেন।
এ সময় তিনি ৩টি পরিবারকে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
আমীরে জামায়াতের সাথে ছিলেন গাজীপুর মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক জামাল উদ্দীন, মহানগর সেক্রেটারি মোঃ খায়রুল হাসান, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ হোসেন আলী, নগর কর্মপরিষদ সদস্য মো: আজহারুল ইসলাম মোল্লা, আবু সিনা মামুন, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো: সালাহ উদ্দিন আইউবী, কোনাবাড়ি থানা আমীর ডা: কবির হোসেন, জামায়াত নেতা মো: এখলাছ উদ্দিন, মো: ফরহাদ হোসেন, মো: আকতারুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা ফারদিন হাসান হাসিব, নূরে আলম, ছাত্রশিবিরের নগর সভাপতি মো: শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।