সম্প্রতি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বহুল ব্যবহৃত ২০টি জেনেরিকের ৫৩টি ব্র্যান্ডের ওষুধের দাম বাড়িয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এ ক্ষেত্রে ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তাবনা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একই ওষুধের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন উৎপাদনকারী ভিন্ন ভিন্ন দাম প্রস্তাব করেছিলেন বলে জানা গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সরকার মধ্যবর্তী একটি দাম বেঁধে দেয়। কিন্তু নয়টি ওষুধের ক্ষেত্রে এর ভিন্নতা দেখা গেছে। এসব ওষুধের ক্ষেত্রে উৎপাদনকারীর প্রস্তাবনার চেয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বেশি দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এতে আমরা দারুনভাবে বিস্মিত। উৎপাদনকারী তাদের সব খরচ ও লাভ হিসাব করেই সাধারণত ওষুধের দাম নির্ধারণ করে থাকেন। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের উচিত প্রস্তাবিত দামের ন্যায্যতা যাচাই করে ন্যায়সঙ্গত মূল্য নির্ধারণ করা, যাতে সাধারণ মানুষের ওপর অতিরিক্ত দামের প্রভাব সহনীয় পর্যায়ে থাকে। তবে প্রস্তাবিত দামের চেয়ে বেশি দাম নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ দেশের মানুষের সঙ্গে সুস্পষ্ট প্রহসন করেছে।
এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি! এটা এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে কেন? দ্রব্য মূল্যের চাপে জাতি এখন পিষ্ট। যেন রাখাল ছাড়া দেশ, অভিভাবক ছাড়া জাতি।