বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সদস্য (রুকন) ও দিনাজপুর উত্তর সাংগঠনিক জেলার সাবেক কর্মপরিষদ সদস্য ও বীরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক নির্বাচিত মেয়র, জনপ্রিয় প্রতিনিধি মাওলানা মুহাম্মাদ হানিফ রাহিমাহুল্লাহ ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ জুলাই সকাল সোয়া ১০টায় ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি স্ত্রী, ৩ পুত্র ও ১ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। ২৫ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টায় বীরগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে প্রথম জানাযা এবং সকাল সাড়ে ১১টায় চাউলিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে দ্বিতীয় জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
শোকবাণী
মাওলানা মুহাম্মাদ হানিফের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ২৪ জুলাই ২০২২ এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, মাওলানা মুহাম্মাদ হানিফ মহান আল্লাহ পাকের ডাকে সাড়া দিয়ে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন। রাব্বি কারিমের সাথে তার এই মুলাকাত রাহমাহ, মাগফিরাহ এবং তাঁর করা আমলের ওপরে সীমাহীন বারাকাহ মন্ডিত হোক। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মাওলানা মোঃ হানিফ রাহিমাহুল্লাহকে তাঁর আবরার গোলামদের মধ্যে শামিল করুন এবং জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করুন।
তিনি আরো বলেন, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিদের আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর নিজের অভিভাবকত্বে কবুল করুন। পরিবার, আপনজন এবং সকল সহকর্মীদেরকে রাব্বুল আলামীন সবরে জামিল দান করুন। তিনি দিনাজপুরের বীরগঞ্জের জনসাধারণের প্রিয় প্রতিনিধি ছিলেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা আমাদেরকে তাঁর উত্তম বিকল্প দান করুন, আমীন।
অপর এক যুক্ত শোকবাণীতে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, মাওলানা মুহাম্মাদ হানিফ ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক জীবন-যাপনের চেষ্টা করতেন। তিনি দ্বীন প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপ‚র্ণ অবদান রেখে গিয়েছেন। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। আল্লাহ তায়ালা তাঁর জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে দাখিল করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।