বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের এক বৈঠক ২৩ জুলাই আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের বৈঠকে দেশের চলমান পরিস্থিতি বিশেষ করে বিদ্যুতের দুরবস্থা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং নিম্নোক্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়।
“বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে বিদ্যুৎখাতে মহাবিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। সারা দেশে অসহনীয় লোডশেডিং এর ফলে মানুষের জীবনে ভয়াবহ দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎ সংকটের কারণে কলকারখানা ও উৎপাদন সেক্টরগুলোতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিদ্যুতের অভাবে গ্যাস সংকট দেখা দেওয়ায় ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ও যমুনা ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড। দেশীয় সার কারখানা বন্ধ হওয়ায় কৃষিখাতে উৎপাদন ব্যাহত হবে। বিদেশ থেকে সার আমদানি করতে হলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা প্রয়োজন। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিপদজনক অবস্থায় থাকার কারণে সার আমদানি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে খাদ্য সংকটের সম্মুখীন হবে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে দেশের শিল্পোৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে ফাঁকা বুলি আওড়িয়ে আসছে তা জনগণের সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।
স্বল্প মেয়াদের কথা বলে এক যুগ ধরে ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনা হচ্ছে বাড়তি দামে। বিদ্যুৎ না নিলেও এসব কেন্দ্রকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে।
এ সরকারের আমলে বিদ্যুৎখাতে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। জনগণের টাকায় লাভবান হয়েছে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চিহ্নিত একটি মহল। কুইক রেন্টালের নামে বছরের পর বছর যাবৎ বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয় হলেও বিদ্যুৎ সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ অবিলম্বে বিদ্যুৎখাতের অব্যবস্থাপনা দুর করে জনগণকে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছে।”