বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের এক সভা ২৩ জুলাই আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে আসায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিম্নোক্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়।
“বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, সাধারণ মানুষের ব্যবহার্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। কয়েক মাস ধরেই ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম। বর্তমানে এমন কোনো পণ্য পাওয়া যাবে না, যার দাম বৃদ্ধি পায়নি। বেশির ভাগ দ্রব্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছে।
দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন অতিষ্ঠ। প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম হু-হু করে বেড়েই চলেছে। সীমিত আয়ের মানুষেরা জীবন ধারণে হিমশিম খাচ্ছে। সকল প্রকার খাদ্যদ্রব্য যেমন- চাল, ডাল, তেল, লবণ, মরিচ, পেঁয়াজ, রসূন, মাছ, তরকারি, চিনি, দুধ ইত্যাদি নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি জনজীবনের গতিকে অচল ও অস্বাভাবিক করে তুলেছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি বেড়েই চলছে বাসাভাড়া, পরিবহন ভাড়া, চিকিৎসা ও শিক্ষা খাতের ব্যয়। সরকারি-বেসরকারি সেবার দামও বাড়ছে। সেই অনুপাতে বাড়ছে না মানুষের আয়। ফলে জীবনযাত্রার মানেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
সরকারের ১৪ বছরের শাসনকালেও কোনো সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। বাজারের উপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠা একটি সিন্ডিকেট তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে বাজারকে প্রভাবিত করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির নেপথ্য ভূমিকা রাখছে। সরকার জনগণের কষ্ট লাঘবের পরিবর্তে তা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করছে।
বাংলাদশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ অবিলম্বে দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতি নিয়ন্ত্রণ করে দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে আনার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছে।”