সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট এবং দেশের সম্পদ ও অর্থ বিদেশে পাচারজনিত কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয়সহ সামগ্রিক বিপর্যয়ের প্রতিকার দাবিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের অধিকার ও দায়িত্ব যেকোন নাগরিকের রয়েছে। কারণ রাষ্ট্রের কোষাগারের মালিক হচ্ছেন দেশের জনগণ।
আজ ভোলায় বিএনপির এ ধরনের একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য জনাব আব্দুর রহিম মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়েছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ তা’য়ালা তাঁকে জান্নাত নসীব করুন। সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে এ ধরনের একজন লোকের জীবন কেড়ে নেওয়া সত্যিই দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। প্রশ্ন জাগে, কোনো সরকার যদি দেশ ও জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোন কর্মকান্ড পরিচালনা করে, সেক্ষেত্রে দেশের জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার কি থাকবে না?
পুলিশ রাষ্ট্রের কর্মচারি। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্ন করার কোন এখতিয়ার পুলিশের নেই। গতকাল ও আজ সারাদেশে অনুরূপ দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শান্তিপূর্ণ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বিভিন্ন জায়গা থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত প্রতিবাদ গায়ের জোরে অতীতেও দমন করা যায়নি এখনো যাবে না, ইনশাআল্লাহ। নিজেদের সীমাহীন ব্যর্থতা ঢাকতে সরকার দমননীতি অব্যাহত রেখেছে। অবশ্যই তা একদিন শেষ হবে ইনশাআল্লাহ।