বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্যদের নিয়ে ৫ আগস্ট দিনব্যাপী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি জনাব মতিউর রহমান আকন্দের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান।
ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম-এর উদ্বোধনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রোগ্রামের কার্যক্রম শুরু হয়। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব সাইফুল আলম খান মিলন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মোঃ সেলিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মোঃ রেজাউল করিম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ শফিকুর রহমান শপথবদ্ধ জীবনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “শুধু ইহকালই নয়, পরকালীন জীবনের জন্যও শপথ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাহাবায়ে কেরাম রাসূলে করীম (সা:)-এর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেছেন। বাইয়াত শুধু খণ্ডকালীন নয়, এটি আজীবনের জন্য। জীবনের শুরু থেকেই ইক্বামাতে দ্বীনের উপর চলতে পারা সৌভাগ্যের বিষয়।
তিনি বলেন, আমাদেরকে দ্বীনি পরিবার গঠনে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। হালাল উপায়ে জীবিকা উপার্জন করতে হবে। সমাজে সঙ্গী-সাথী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলামকে প্রাধান্য দিতে হবে। সমাজ হতে যতক্ষণ পর্যন্ত অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি উৎখাত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ভুল-ত্রুটির জন্য মহান মাবুদের কাছে একে অপরের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। গোটা দেশবাসীকে নিজের পরিবার মনে করে সবাইকে নিয়ে একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা পালন করতে হবে। ইহকালীন কল্যাণ এবং পরকালে জাহান্নামের ভয়াবহ আযাব থেকে মুক্তি লাভের জন্য ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।”
সমাপনী বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, “আসুন, আমরা নিজেদেরকে আল্লাহ তাআলার একজন প্রিয় বান্দা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করি এবং শপথবদ্ধ জীবন গঠনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হই।”
পরিশেষে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রোগ্রামের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।