“আমরা এখন থেকে ঋণ নেবো না, ঋণ দেবোঃ বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে এবং বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল”
বছর কয়েক ধরে নৈতিক বৈধতাহীন সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা উপরোক্ত কথাগুলো বলে আসছিলেন। অথচ ইতিমধ্যেই আইএমএফ এর কাছে ঋণ চেয়ে সরকার আবেদন করেছে। হাজার শর্তের বেড়াজালে আইএমএফ থেকে যে ঋণ নেওয়া হবে, আগামী দিনে জাতির জন্য বিষাক্ত কাঁটা হয়ে তা ফুঁটার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।
চলমান ঋণের বোঝার সাথে বাড়তি বোঝা যুক্ত হয়ে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে জুলুম ও কর্তৃত্ববাদী শাসনে জনগণের ত্রাহী-ত্রাহী অবস্থা। একটি গোষ্ঠী সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করে আংগুল ফুলে কলাগাছ নয় বটগাছ হয়েছে।
বেপরোয়াভাবে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এমনিতেই সাধারন মানুষের জন্য জীবনযাপন করতে গিয়ে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। তার সাথে আইএমএফ এর ঋণের দুরুহ বোঝা এ জাতি কেন বহন করবে?
তাই লুটেরা শ্রেণির হাত থেকে জাতির মুক্তির জন্য সংগ্রাম শুরু করা উচিত। তাতে বিলম্ব কাম্য নয়। বিলম্ব হলে বাংলাদেশ জাতি-রাষ্ট্র অকল্পনীয় হুমকিতে পড়বে।