বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠার পর প্রথম শহীদ সাব্বির আহমাদের মাতা মুহতারামা কুরাইশা খাতুন বার্ধক্যজনিত কারণে ১৬ আগস্ট রাত সাড়ে ৩টায় ৮২ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি ৪ পুত্র ও ১ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। ১৬ আগস্ট উপশহর কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাযা শেষে তাঁকে টিকাপাড়া কবরস্থানে শহীদ সাব্বির আহমাদের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
শোকবাণী
মুহতারামা কুরাইশা খাতুনের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১৬ আগস্ট ২০২২ এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠার পর প্রথম শহীদ সাব্বির আহমাদের আম্মা মুহতারামা কুরাইশা খাতুন দীর্ঘ ৪০ বছর পুত্র হারানোর ব্যথা বুকে ধারণ করে ১৬ আগস্ট মঙ্গলবার মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁর দরবারে উপস্থিত হয়েছেন। তিনি একজন পরহেযগার ও গুণী মহিলা ছিলেন। তাঁকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাঁর কবরকে প্রশস্ত করুন। তাঁর গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।
অপর এক যুক্ত শোকবাণীতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরী আমীর মাওলানা ড. কেরামত আলী ও সেক্রেটারি জনাব ইমাজ উদ্দিন গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, মুহতারামা কুরাইশা খাতুনের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাভিভূত। তিনি ছিলেন একজন দ্বীনদার মহিলা। তিনি ইসলামের জন্য অনন্য অবদান রেখে গিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা তাঁর জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে দাখিল করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে সবরে জামিল দান করুন।