জাতি আজ স্বৈরশাসকের কবল থেকে মুক্তি চায়। এজন্য দেশ প্রেমিক সকল দল ও মতের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
২৪ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলা জামায়াতের দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান উপরোক্ত কথা বলেন। জেলা আমীর জনাব মোঃ আনোয়ারুল হক মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও জোন পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন প্রমুখ।
ডাঃ শফিকুর রহমান আরো বলেন, “ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের সকল আশা-প্রত্যাশা একমাত্র আল্লাহর নিকট সোপর্দ করতে হবে। ইসলামের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর যুদ্ধের ঘোষণা এসেছে। বিশেষ অবস্থার প্রেক্ষিতে জিহাদ ঘোষণার দায়িত্ব একমাত্র ইসলামী রাষ্ট্রের। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠি জিহাদ ঘোষণা করতে পারে না। এ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বেশি বেশি আত্মসমালোচনা করতে হবে। অনেক সময় আমরা নিজেদের ত্রুটি-বিচ্যূতিগুলো ভুলে গিয়ে অপরের সমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। অনেক সময় আমরা সামান্য বিপদেই হতাশ হয়ে পড়ি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের তপ্ত ইতিহাস অবশ্যই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের বুকে ধারণ করতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বদরের যুদ্ধে তাঁর সর্বোচ্চ সামর্থ্য নিয়ে আল্লাহর দরবারে নিজেকে সোপর্দ করেছিলেন বলেই মহান আল্লাহর সেই কাঙ্ক্ষিত সাহায্য এসেছিল। আমরা যদি সর্বোচ্চ ত্যাগ-তিতিক্ষা মহান আল্লাহর সামনে পেশ করতে পারি, তাহলে আশা করা যায়, আমরাও আল্লাহ তা’য়ালার সাহায্য পাব, ইনশাআল্লাহ। হামলা-মামলা, গ্রেফতার, হয়রানি যা কিছুই আসুক না কেন, কোনো অবস্থাতেই ধৈর্য হারা হওয়া যাবে না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের উপর সবর-এখতিয়ার করে সীসাঢালা প্রচীরের মতো ঐক্যবদ্ধভাবে সকল বিপদাপদের মোকাবিলা করতে হবে। এতে যদি জীবনও দিতে হয়, তবুও সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম থেকে বিচ্যূত হবার কোনো সুযোগ ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের নেই।
তিনি বলেন, বালা-মুসিবদসহ সকল অবস্থায় আমাদেরকে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা তাদের সকল অভাব পূরণ করতে না পারলেও তাদের সব দুঃখ-কষ্টের ভাগী হতে চাই। কেন্দ্রীয় কোনো নির্দেশনা এলে তা পালনে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।
নির্বাচন বিষয়ে আমীরে জামায়াত বলেন, জামায়াতে ইসলামী দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। নির্বাচনের সেই পরিবেশ তৈরীর দায়িত্ব সরকারের। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। এজন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি আমাদের আছে। নির্বাচনী জোটের বিষয়ে তিনি বলেন, অবস্থা এবং প্রেক্ষাপট দেখে জামায়াত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”