২০০৯ সালে বর্তমান শাসক দল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইডেন মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রী হোস্টেলগুলোতে লোমহর্ষক, কূরুচিপূর্ণ অনেক ঘটনার খবরই গণমাধ্যমে আসতে থাকে। এর সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে, এ সপ্তাহজুড়ে সরকারী দলের ছাত্র সংগঠনের নিজেদের মাঝে যা হয়ে গেল বা হচ্ছে। তা নিয়ে জাতিকে অবশ্যই ভাবতে হবে।
এমনকি যে সমস্ত উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রীরা কুলুষিত রাজনীতির নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের অভিভাবকদেরকেও তাদের নিয়ে ভাবতে হবে। নিশ্চয়ই অভিভাবকরা সন্ত্রাসী এবং দুঃস্কর্মের সারথি হওয়ার জন্য তাদেরকে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে পাঠাননি, নোংরা রাজনীতি করতেও পাঠাননি। পাঠিয়েছেন মানুষ হওয়ার জন্য। মানুষ হয়ে মেধা, বোধ, বিবেক ও যোগ্যতার বিকাশ ঘটিয়ে পরিবারের প্রত্যাশা পূরণ করবে, পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করবে এবং সমাজকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিবে।
কিন্তু বাস্তব চিত্র এর সম্পূর্ণ বিপরীত। চাঁদাবাজি, সিট বাণিজ্য, হলের রুম দখল এমনকি আমাদের কলিজার টুকরা মেয়েদেরকে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজে বাধ্য করার মতো লোমহর্ষক ঘটনার বক্তব্য-বিবৃতি ছাত্রলীগ নেত্রীদের মুখ থেকেই বের হয়ে আসছে। যা রীতিমত জাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে। আর এ অবস্থা যে শুধু ইডেন মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ঘটছে, তা কিন্তু নয়। আজ সর্বত্র মহামারি আকারে একই ভয়ঙ্কর রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রয়োজন আজকে সব মহলের সোচ্চার হওয়ার এবং সমাজ থেকে এ দুষ্টু ক্ষত সরিয়ে ফেলার। এ অপকর্মে যারা জড়িত তারা মানব সভ্যতার দুশমন এবং নিঃসন্দেহে সমাজের দুষ্টু ক্ষত। এর জন্য প্রয়োজন একটি সামগ্রিক পরিবর্তন।