বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “বন্যাসহ সকল বিপদ-মুছিবত মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। কোন বিপদই স্থায়ী থাকেনা। আল্লাহ তা’য়ালার পরীক্ষা শেষ হলে বিপদও কেটে যায়। সাম্প্রতিক কালের ভয়াবহ বন্যার শুরু থেকে জামায়াতে ইসলামী বন্যার্তদের পাশে সাধ্যমত সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই সময়ে বিবেকের তাড়নায় অনেকেই বন্যাদূর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যারা বিপদগ্রস্ত বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সবাইকে আন্তরিক মোবারকবাদ। আশা করি মহান আল্লাহ তাদেরকে উত্তম জাযা দান করবেন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বন্যার পানি চলে গেলে সরকারসহ আমাদের বিত্তবান-সামর্থবান ভাইয়েরাও চলে গেছেন। কিন্তু জামায়াত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ছেড়ে যায়নি। সাধ্যের সবটুকু নিয়ে আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে এখনও আছি। আমাদের পূণবার্সন কার্যক্রম শেষ হয়নি। আমরা খুজে-খুঁজে ১০ হাজার টাকা দিয়ে হলেও একজন অসহায় ভাইকে স্বাবলম্বী করে তোলার কাজ অব্যাহত রাখবো, ইনশাআল্লাহ। এজন্য আমরা আপনাদের ভালোবাসা ও দো’য়া চাই।
আমীরে জামায়াত আরো বলেন, বন্যা চলাকালিন সময়ে আমরা আমাদের নেতা-কর্মীদের কাছে সাধ্যমতো সহযোগিতা চেয়েছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের ভাইয়েরা প্রত্যাশার চেয়ে ১০ গুণ বেশী সহযোগিতা করেছেন। কারণ আমাদের একমাত্র লক্ষ্য মানুষের কল্যাণ সাধন করে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। যারা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টির জন্য কাজ করে তাদেরকে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন হেফাজত করবেন, ইনশাআল্লাহ।
তিনি বুধবার সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে নগরীর দক্ষিণ সুরমা এলাকার ৪০, ৪১ ও ৪২ নং ওয়ার্ডের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর মেরামতের জন্য ১২ টি পরিবারের মাঝে ঢেউটিন বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর সহকারী সেক্রেটারি ড. নুরুল ইসলাম বাবুল, দক্ষিণ সুরমা থানা সেক্রেটারি ফয়জুল ইসলাম জায়গিরদার, সহকারী সেক্রেটারি কাজী জাফর আহমদ, ২৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল জলিল নজরুল, মুরব্বীদের মধ্যে ফয়জুর রহমান আযাদ, তুরন মিয়া, জামায়াত নেতা এডভোকেট মকসুদ আহমদ, এসএম মুসা, আবুল লেইছ, আরাফাত রহমান, দক্ষিণ সুরমা পূর্ব থানা ছাত্রশিবির সভাপতি তোফায়েল আহমদ ও সাবেক ছাত্রনেতা মামুন হোসাইন।