১৯ অক্টোবর বুধবার সকালে মাগুরা জেলা জামায়াতের উদ্যোগে মুহাম্মাদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের মন্ডলগাতী গ্রামের ঈদগাহ ময়দানে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ডুবি দুর্ঘটনায় একই গ্রামের ৫ জন নিহত ও ১ জন নিখোঁজসহ মোট ৬টি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান উপলক্ষ্যে ভার্চুয়ালি এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাও: মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আমীর অধ্যাপক এম,বি বাকের।
আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ডুবি দুর্ঘটনায় মাগুরা জেলার মন্ডলগাতী গ্রামের নিহত ৫ জনসহ যারা নিখোঁজ রয়েছেন, মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে দোয়া করি তিনি যেন তাদের ক্ষমা করে দেন, তাদের সবাইকে শহীদ হিসেবে কবুল করেন এবং জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করেন।
তিনি আরো বলেন, যারা স্বজন হারিয়েছেন, আপনজন হারিয়েছেন, তাদের ব্যথা কারো পক্ষে দূর করা সম্ভব নয়। কিন্তু মানুষ হিসেবে আমাদের সকলের দায়িত্ব আমাদের কোনো ভাই, আমাদের কোনো বোন যখনই বিপদে পড়বেন, তখনই তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসা। জামায়াতে ইসলামী সকল বিপদাপদে মানুষের পাশে থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করে থাকে। কিন্তু বিনিময়ে আমরা কাউকে খুশি বা দুনিয়ায় কিছুই চাই না। আমরা যা করি, শুধু আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্যই করি।”
আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মো: মোবারক হুসাইন ও টীম সদস্য আব্দুল মতিন। আরো বক্তব্য রাখেন পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ সেকেন্দার আলী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক সাঈদ আহমাদ বাচ্চু, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল গাফফার, মুহাম্মাদপুর উপজেলা আমীর মাও: কবির হোসেন, পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়ন আমীর মাও: আব্দুস সবুর, জাহাজ শ্রমিক বিলাল হোসেন প্রমুখ।
আর্থিক সহায়তা অনুষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্ত ৬টি পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে আর্থিক সহায়তা হিসাবে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। একই দিনে সকাল ০৮টায় ঈদগাহ ময়দানে জাহাজ ডুবিতে নিখোঁজ জাহিদুল ইসলাম (৩২) ও নাজমুল ইসলামের (৩৫) গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় বিপুল সংখ্যক মুসল্লি শরীক হন। জানাযায় ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন জেলা আমীর অধ্যাপক এম,বি বাকের।