২১ অক্টোবর যশোর পূর্ব সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও যশোর পূর্ব সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের আমীর মাষ্টার মোঃ নুরুন্নবীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান। সম্মেলনে দারসুল কুরআন পেশ করেন জেলা জাময়াতের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল মালেক খান।
আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, “মহান আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি নিয়ে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। দায়িত্ব পালনে যোগ্যতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য ব্যাপক পড়াশুনা করতে হবে। আমাদেরকে আল্লাহর সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। এজন্য রাত জেগে বেশি বেশি নফল ইবাদত ও অধ্যয়নে মনোনিবেশ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, “পথহারা মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে দাওয়াতী কাজ বৃদ্ধি করতে হবে। সমাজ এবং রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। মহান আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান কায়েমের জন্য জামায়াতের দায়িত্বশীলদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। এলাকার প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়, অলিতে-গলিতে আপনাদের বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে। দেশের অসংখ্য গরীব-অসহায় মানুষ চরম দুঃখ-দুর্দশায় দিনাতিপাত করছে। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদেরকে মানবসেবা করতে হবে। এই সুবিধা-বঞ্চিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানান।”
আমীরে জামায়াত বলেন, দেশ এখন চরম ক্লান্তিকাল অতিক্রম করছে। রাতের ভোটে প্রতিষ্ঠিত বর্তমান সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি ও অপশাসনের কারণে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা ভূলুন্ঠিত হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মোবারক হুসাইন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিটি নেতা-কর্মী-সমর্থকগণ দানশীল, পরোপকারী এবং দেশপ্রেমিক। তাঁরা সব সময় অসহায় দুঃস্থ আর্তমানবতার সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াত কর্মী মানেই সমাজ কর্মী। জামায়াতের প্রত্যেক নেতা-কর্মী ও সহযোগীকে অবশ্যই একজন সমাজ কর্মী হিসেবে ভূমিকা পালন করতে হবে। মানুষের বিপদ-আপদে পাশে থাকতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে মাষ্টার মোঃ নূরুন্নবী বলেন, “দেশে জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকেবসা অপশক্তি বেপরোয়াভাবে গুম-খুন চালিয়ে যাচ্ছে। এই অপশক্তি দেশপ্রেমিক ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। অনেককেই গুম করে রেখেছে। হিন্দুস্থানের তাঁবেদারি করতে রাজি হননি বলেই দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে মেধাশূন্য করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশপ্রেমিক, মেধাবী ও যোগ্য নেতৃবৃন্দকে ছলে-বলে এবং নানা কৌশলে দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। তাই দেশবিরোধী সকল চক্রান্ত রুখে দিতে সব ভেদাভেদ ভুলে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সম্মেলন শেষে দেশবাসীর জন্য দোআ করা হয়।”
সম্মেলনে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ আরো উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক মনিরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুস সামাদ, মাওলানা নজির হুসাইন ও অধ্যাপক মশিউর রহমান প্রমুখ।