জনাব আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ ভাই এবং তাঁর সম্মানিত সঙ্গী-সাথীগণ ইতিমধ্যেই দুনিয়ার সফর শেষ করেছেন। তাঁরা মহান মাওলার স্বার্থক গোলামী করে মাওলার কাছেই ফিরে গিয়েছেন। বিশ্বাস করি, আল্লাহ তা’য়ালার সুসংবাদপ্রাপ্ত আবরার গোলামদের মধ্যে শামিল হয়েছেন। তাঁদের এ রক্তাক্ত ত্যাগ, তাঁদেরকে মর্যাদাবান শহীদের কাতারে শামিল করেছে। শাহাদাতের মউত হচ্ছে মু’মিনের জীবনে সর্বোচ্চ প্রাপ্তী। এ মউত বড় লোভনীয়। সকলের কপালে এ মউত জুটে না।
আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের হিদায়াকে ক্বালবে ধারণ করে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনসহ জীবনের সকল পর্যায়ে দ্বীন কায়েমের যে কাজ প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) সূচনা করেছিলেন, ঐ কাজ আঞ্জাম দেওয়ার মিছিলে জনাব মুজাহিদ ভাইয়েরা ছিলেন প্রাণচঞ্চল। সত্য এবং হিদায়াতের পথ থেকে কোন কায়া-মায়াই তাঁদেরকে টলাতে পারেনি। দ্বীন কায়েমের যে সংগ্রাম তাঁরা করে গেছেন, আজ তাঁদের রেখে যাওয়া দায়িত্বটি সহকর্মীদের কাছে এ এক বিশাল আমানত।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জনাব আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ শহীদ রাহিমাহুল্লাহসহ জুলুমের শিকার হয়ে যে সমস্ত দায়িত্বশীল ও সহকর্মীবৃন্দ দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন, মহান আল্লাহ তাঁদের সকলকে মর্যাদাবান শহীদ হিসেবে কবুল করুন এবং আমাদেরকে তাঁদের রেখে যাওয়া এ আমানতের ভার সঠিকভাবে বহন করার তাওফিক দান করুন। আমীন।।