বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “শাহাদাতের তামান্নায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করতে পারলে বিজয় অনিবার্য। সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় প্রচেষ্টারত ব্যক্তিদের ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের সেবায় পাশে দাঁড়াতে হবে এবং মজলুমের সাহায্যকারী হতে হবে।”
তিনি আজ ১৯ এপ্রিল’২৪ বরিশাল মহানগরীর উদ্যোগ দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বরিশাল মহানগরী আমীর অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মু. বাবর এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ও এডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “অহেতুক বিতর্ক এড়িয়ে যৌক্তিক বিতর্কে উত্তম পন্থায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পৃথিবীতে নানান বিপর্যয় মূলত আমাদের নাফরমানির কারণে। আল্লাহ তায়া’লা বিমূখ মানুষের নাফারমানিতে বিপর্যয় আসলেও এতে শুধু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, অন্যান্য সৃষ্টিরও কষ্টের কারণ হয়। তাই মানুষকে নাফরমানি থেকে বিরত রাখতে এবং সত্যের সন্ধান দিতে আমাদের পেরেশানি নিয়ে দাওয়াতি কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
দাওয়াতি কাজ সব সময় নিরাপদ হয় না। ঈমানী শক্তি নিয়ে ময়দানে নামতে হবে। দাওয়াতি কাজে কঠিন ধৈর্য্য ও আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল নিয়ে অংশগ্রহণ করতে হবে। দাওয়াতি কাজে হতাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহর রাসূলের (স.) চরম শত্রু আবু জাহেলের ছেলেও ইসলাম গ্রহণ করে সাহবী হওয়ার মর্যাদা পেয়েছিল। দাওয়াতী কাজের মাধ্যমে ইসলামের চরম দুশমনও ইসলামের পথের পথিক হয়ে যেতে পারে ।”
তিনি আরো বলেন, “দাওয়াতি কাজে সফলতা লাভের জন্য চোখের পানি ফেলে মাওলার দরবারে সাহায্য কামনা করতে হবে। যিনি নিজে দ্বীনের পথের সন্ধান পেয়েছেন তার প্রতি হক হচ্ছে অন্যের কাছে এই দাওয়াত পৌঁছে দেয়া। গণসংযোগ পক্ষসহ সকল সময়ে এই অনুভূতি নিয়ে ময়দানে ছুটতে হবে। আমাদের বিজয় অনিবার্য। কেউ আমাদের হারাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। বস্তুগত প্রতারণার এই দুনিয়ার মায়া পেছনে ফেলে আল্লাহর সন্তোষ লাভের দুর্ণিবার আকাঙ্ক্ষায় সাহসিকতার সাথে দ্বীনের কাজ আঞ্জাম দিতে হবে। একটি বিপ্লবের জন্য বিপ্লবী মেজাজের কর্মী বাহিনী গঠন করার কোনো বিকল্প নেই ।”
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের প্রতিটি প্রান্তে সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সংঘবদ্ধ করার কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াতের প্রত্যেক জনশক্তিকে ইলম ও আমলে সমৃদ্ধ হয়ে সমাজে নৈতিক প্রভাব সৃষ্টি করতে হবে।”
এডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, “বরিশাল বিভাগের কাজ গতিশীল করার ক্ষেত্রে মহানগরীর ভূমিকা অনেক বেশি। তাই মহানগরীর সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের কর্মতৎপরতা জোরদার করতে হবে।”
ভোলা জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলন
একই দিনে ভোলা জেলা জামায়াতের উদ্যোগে রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ভোলা জেলা আমীর মোঃ জাকির হোসাইনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে আলোচনা পেশ করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ও এডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল।