আমরা গভীরভাবে দুঃখিত ও ব্যথিত। আমাদের সকল দো’য়া, সহানুভূতি ও ভালোবাসা-শ্রদ্ধা সেই সমস্ত পরিবারের জন্য যাদের সন্তান, যাদের ভাই, স্বামী, পিতা সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার_আন্দোলনে নির্মমভাবে নিহত হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন।
যারা এ কাজ করেছে তারা নিঃসন্দেহে মনুষ্যত্বকে বিসর্জন দিতে পারার কারণেই অন্ধ এবং বেপরোয়া হয়ে এ কাজ করেছে। এ অপকর্মের নিন্দা জানানোর কোনো ভাষা আমাদের জানা নেই।
মহান রবের দরবারে দো’য়া করি, যে সমস্ত বিবেকবান দায়িত্বশীল সন্তানেরা ছাত্রদের ন্যায্য দাবি আদায়ের এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে অধিকার আদায়ের আওয়াজ তুলেছিলেন কিন্তু বুলেট তাদের বুক ঝাঝরা করে দিয়ে তাদের দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিয়েছে। আল্লাহ তা’য়ালা তাদের ওপর রহম করুন, তাদের ক্ষমা করুন এবং তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন।
তাদের এ আত্মত্যাগ বাংলাদেশের জনগণ গভীর শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতার সাথে চিরকাল স্মরণ করবে। তাদের এ মৃত্যু জাতিকে হয়তো নতুন করে প্রাণ দিবে। জাতির বিবেক জেগে ওঠার জন্য কাজ করবে।
আমরা মহান রবের দরবারে দো’য়া করি, আপনজনহারা এ পরিবারের সমস্ত সম্মানিত সদস্য-সদস্যাবৃন্দকে আল্লাহ তা’য়ালা উত্তম ধৈর্য ধারণের তাওফিক দান করুন এবং তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন অফুরন্ত প্রতিদান এবং সম্মান প্রদান করুন।
যারা আহত হয়েছেন, মহান রবের দরবারে তাদের আশু সুস্থতার জন্য প্রাণভরে দো’য়া করছি।
সারা জাতি আজকে ব্যাথতুর। শত-শত মানুষের এই নির্মম হত্যাকান্ড এবং হাজার-হাজার মানুষ আহত, এটাকে কেন্দ্র করে যে ভীতিকর অবস্থা তৈরি করা হয়েছে কিংবা রাষ্ট্রের সম্পদ ধ্বংস করা হয়েছে তা কোনমতেই এ দেশের মানুষের কাম্য নয়। কিন্তু চিরচারিত অতীতের ঐতিহ্য অনুযায়ী ক্ষমতাসীনরা কোনো ধরনের বাছবিচার না করেই এটাকে রাজনৈতিক রং ছড়িয়ে জাতির দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে নেয়ার চেষ্টা করছে। জাতিকে এতটা অবিবেচক কিংবা বোকা ভাবার কোনো কারণ নেই। মানুষ যথেষ্ট বুঝে। নতুন করে কোনো ব্যাখ্যা কিংবা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার কোনো সুযোগ নেই।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রিয় দেশকে জুলুমতন্ত্রের হাত থেকে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তির ওপর ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সমগ্র দেশবাসীকে তার অর্পিত নাগরিক দায়িত্ব, মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস, দেশ এবং জনগণের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমীন, সুম্মা আমীন।।