গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে তিন বাহিনী প্রধানদের উপস্থিতিতে রাজনৈতিক দলসমূহের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের কতিপয় ব্যক্তিবর্গের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঐ দিন দুপুরে তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী দেশে চলে যান। ঐ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে রাষ্ট্রপতির কাছে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দ জানতে চান, শেখ হাসিনা তার কাছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কিনা। জবাবে প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি পদত্যাগ পত্র পেয়েছি” আবার প্রশ্ন করা হয় যে, আপনি তার পদত্যাগ পত্র মঞ্জুর করেছেন কিনা? জবাবে তিনি বলেছেন “হ্যা আমি পদত্যাগ পত্র মঞ্জুর করেছি”।
ঐ দিনের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির মিলিটারি সেক্রেটারিসহ বঙ্গভবনের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। ৫ আগস্টের ঐ মিটিং এর পর রাত ১১ঃ২০ মিনিটে জাতির উদ্দেশে ভাষণে একই কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পেয়েছেন এবং তা মঞ্জুর করেছেন।
মানব জমিনের প্রধান সম্পাদক জনাব মতিউর রহমান চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি যা বলেছেন তাতে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। তার ৫ আগস্টের বক্তব্য এবং ১৯ অক্টোবরের সাক্ষাৎকারটি স্পষ্টত স্ববিরোধী। যদি তিনি জনাব মতিউর রহমান চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকেন এবং উল্লেখিত কথাটি বলে থাকেন, তাহলে রাষ্ট্রপতি ৫ই আগস্টের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সামনে বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন। এর মাধ্যমে স্পষ্টত তিনি তার শপথ ভঙ্গ করেছেন। ফলে তিনি রাষ্ট্রের এই মহান দায়িত্বে থাকার নৈতিক ও আইনগত অধিকার হারিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতিকে অনতিবিলম্বে তার অবস্থান স্পষ্ট করে জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করার আহবান জানাচ্ছি।
Source:
ফেসবুক স্ট্যাটাস লিঙ্ক